মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
spot_img
Homeসারাদেশঢাকাআওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সত্যের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব দিপু

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সত্যের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব দিপু

বশির আলম: গাজীপুর ২আসনের সাবেক সংসদ সদস্যকে হত্যা করিনি। এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাসানো হয়েছে। আমি প্রায় বিশ বছর যাবত প্রবাসে রয়েছি। এবার সময় এসেছে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সত্যের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গাজীপুরের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও

শিক্ষানুরাগী জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম দীপুর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইতালি প্রবাসী সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও নূরে আলম আকন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্ভোদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেকাত বানু।ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি আরও বলেন, যদি লক্ষ্য থাকে অটু বিশ্বাস হৃদয়ে হবে হবেই দেখা দেখা হবে বিজয়ের এ স্লোগানটা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। আপনারা জানেন আমি একটি মিথ্যা

মামলা মাথায় নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছি। আজ আমার ৫০ তম জন্মদিন অনুষ্ঠান সফল করতে যারা শ্রম, মেধা ও অর্থ দিয়ে দিয়েছেন তাদের সকলকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ আপনারা আমার জন্মদিনে যারা আমার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উপস্থিত হয়েছেন তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।

আমি কখনো এমপি ছিলাম না, আমি কখনো মন্ত্রী ছিলাম না, আমি কোন জনপ্রতিনিধি ছিলাম না আমি আপনাদের গোপাল পুরের ছোট্ট একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে করতে আজকে আমি এ জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমি রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে কখনো মাঠে থাকি নাই, আমি অন্যায়ের প্রতিবাদে মাঠে ছিলাম, আর অন্যায়ের

প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি, যার ধরুন আমাকে দেশের বাহিরে থাকতে হচ্ছে। আপনারা জানেন আহসানউল্লাহ মাস্টার একজন সাবেক এমপি ছিলেন একজন শিক্ষক ছিলেন কিন্তু আমি তাকে চিনি একজন আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে আমি তাকে চিনি আমার একজন পিতৃতুল্য অভিভাবক হিসেবে, আপনারা কি পারবেন আপনার পিতৃতুল্য

অভিভাবকে খুন করতে? এটা একটা চক্রান্ত ছিল এ হত্যাকান্ড ছিল তাদের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলের। আপনারা সকলেই জানেন আহসানউল্লাহ মাস্টারের সবচেয়ে প্রিয় পাত্র ছিলাম আমি। আপনাদের কাছে দোয়া চাই আমি যেন অতি সত্তর এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে দেশে ফিরে আসতে পারি। আমি কিন্তু মামলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাইনি আমি দেশের বাইরে

অবস্থান করছিলাম একটি সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায়। আমি যদি দেশে ফিরে আসতাম তাহলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ন্যায়বিচার পেতাম না। আজকে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম যেদিন আমি দেশে ফিরে সুষ্ঠু বিচার পাবো, ন্যায়বিচার পাবো আদালতে হাজির হতে পারব। ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকে যে

নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, যে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে সেই স্বাধীন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সেজন্য আমি বলতে পারি অতি সত্তর আমি ন্যায় বিচারের আশায় দেশে ফিরে আসবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, আপনারা কি জানেন আজকে আমার এ কাল অধ্যায়ের জন্য কারা দায়ী? আপনারা কি জানেন এ মামলাতে কি বলা

হয়েছিল? বলা হয়েছে আমি নুরুল ইসলাম সরকার টেলিফোনে কন্ট্রাক করে আমরা তিন ভাই আহসানউল্লাহ স্যারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছি। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর তিন ভাই একসাথে কবে ভাত খেয়েছি তাও জানা নাই; অথচ বলা হয়েছে আমরা তিন ভাই এক সাথে স্যারকে গুলি করে হত্যা করেছি। সেদিন সেটা একটি স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোক সম্মেলনের

অনুষ্ঠান ছিল। স্বেচ্ছাসেবক লীগের বাহিরে সেখানে অন্য কোন লোক উপস্থিত থাকার কথা নয়, শোক সম্মেলনে সুখ সম্মেলনের প্রতিনিধিরাই থাকবে। তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আহসানউল্লাহ স্যার হত্যা হয়েছে। আর এ হত্যার দায় বিএনপি জাতীয় পার্টির লোকের উপরে দিয়েছে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। বলা হয়েছিল আমি মোবাইলে কন্ট্রাক করে সন্ত্রাসীদের

নিয়ে স্যার কে হত্যা করেছি। আপনারা বলেন সে সময় আমার মোবাইলের লোকেশন কোথায় ছিল? আমি কাদের কাদের সাথে কনট্রাক করেছি? মোবাইল ট্রেকিং করলে সত্যটা বের হয়ে আসবে। আমি সেদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে গুলশানে অবস্থান করতেছিলাম। আমার নাম্বারটা এখনো সচল আছে আমার মোবাইল এখনো মন্ত্রী সাবের

একজন আত্মীয় ব্যবহার করতেছে, সে আমার কাছ থেকে নিয়েছিল। আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতি যার কাছে সিগারেট কেনার টাকা ছিল না সে এখন শত কোটি টাকার মালিক কি করে হলো? আপনাদের কাছে প্রশ্ন। স্যারের মৃত্যুর পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে এই মতি। অনেকে বলে আহসানউল্লাহ মাস্টারকে মাদকের জন্য হত্যা করা হয়েছে কারণ তিনি মাদক বন্ধ

করতে চেয়েছিলেন। আজ টঙ্গীতে মাদকের নিয়ন্ত্রণ কে করতেছে কে মাদকের থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে? স্যারকে যে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে হত্যা করা হয়েছিল তার একমাত্র সাক্ষী আজকে আপনারা যে ওয়ার্ডে প্রোগ্রাম করছেন সে ওয়ার্ডের সাবেক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী। সময়ের প্রেক্ষাপটে রজব আলীকে

আমরা জনগণের সামনে দাঁড় করাবো এ রজব আলীকে আমার মামলার এক নম্বর সাক্ষী করা হয়েছিল। আমার বড় ভাই হেলালের স্ত্রী আমার বড় ভাবি, আমার মা, আমার আরো কিছু কাছের আত্মীয়সহ সেদিন রজব আলীর ঘর থেকে এসেছেন। রজব আলীর পায়ে ধরেছেন যেন তিনি মিথ্যা সাক্ষী না দেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন আমি যদি মিথ্যা সাক্ষী না দেই তাহলে

আমাকে এক নম্বর আসামী হতে হবে, আমাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে। উনি কেন মিথ্যা সাক্ষী দিবেন এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রইল। সেই দিন খুব সন্নিকটে নওগাঁর স্কুলের মাঠে যে স্কুলে আমার প্রিয় শিক্ষক কে হত্যা করা হয়েছে সেখানে উনাকে সবার সামনে তার উত্তর দিতে

হবে। অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন, টঙ্গী পূর্ব থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাইফুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক,ইয়াসিন, আরিফ রুবেল, আলম,মধু লিটন আহমেদ, রুবেল আহমেদসহ টঙ্গীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীবৃন্দ। এ সময় বিশেষ মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে জন্মদিনের কেক ও খাবার বিতরণ করা হয়।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ