ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিরাপত্তা এবং পৌরসভার প্যানেল মেয়রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ফুলবাড়ী পৌরসভা সভাকক্ষে পরিষদের কাউন্সিলরদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর মেয়র মো. মাহমুদ আলম লিটন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল ২০২১ (বুধবার) সকাল ১১ঘটিকায় আমাদের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) মামুনুর রশীদ চৌধুরী তার ওয়ার্ড কার্যালয়ে জমি সংক্রান্ত এক পারিবারিক সালিশে বসেন। উক্ত সালিশে বাদী পশ্চিম গৌড়িপাড়ার মৃত মোবারক আলী শাহ্ এর পুত্র মো. আজিজার রহমান, বিবাদী একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হক শাহ্ এর পুত্র মো. গোলাম মোস্তফা সহ বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আ. কুদ্দুস, সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এছার উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক আলী শাহ্, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুর রহমান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সালিশ চলাকালে একই এলাকার মো. মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মো. সাহেদ ইসলাম ও বিবাদী গোলাম মোস্তফা তার লোকজন নিয়ে সালিশে উপস্থিত হয়ে বাদী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কাউন্সিলরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, এমকি প্রাণ নাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে। মারধরের শিকার মো. আজিজার রহমান ঐ দিনই ঘটনায় জড়িত গোলাম মোস্তফা, সাহেদ ইসলামসহ দশ জনের নাম উল্লেখ করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন; যার মামলা নং ০৩, তারিখ ২১/০৪/২০২১ ইং।
মামলার পরদিন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ পালন করা হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এসময় পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন পৌর মেয়র লিটন। দাবিগুলো হল- ১) ঘটনায় অফিসার ইনচার্জ বা ফুলবাড়ী থানা বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন গাফিলতি থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২) দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) পৌর মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন ও লাঞ্ছিতের শিকার কাউন্সিলর মামুনুর রশীদ চৌধুরী।অন্যান্য কাউস্নিলর এবং পরিষদের কর্মকর্তারাও উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে উক্ত তিন দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হয়।