কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ও সুন্দরগঞ্জের সীমান্তবর্তী কাশিম বাজার লকিয়ার পাড় এলাকায় গত দুইদিনে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে নদী ভাঙনের চিত্র দেখা যায়। এ সময় কেউ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছিলেন, কেউ নদ থেকে দূরে নতুন করে একচালা ঘর তুলছেন। আসবাবপত্র সরিয়ে নেন অনেকে। গৃহহীনেরা বিপাকে পড়েছেন গবাদিপশু নিয়ে।
বৃষ্টির পানি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদী সংলগ্ন চরের জমির উঠতি ফসলসহ বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। টানা ভাঙনে দিশেহারা তিস্তাপাড়ের মানুষ।
গত দুই দিনে যেভাবে ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে, তাতে কাশিম বাজার হাট, নাজিমাবাদ স্কুল, কাশিম বাজার বালিকা বিদ্যালয়সহ ১হাজার বাড়িঘর ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনের মুখে এখন বেসামাল তিস্তাপাড়ের মানুষ।
ভাঙনের শিকার কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নদী হামারগুলের সবকিচু কাড়ি নিচে বাহে। এ্যাকনা ঘর আচিলো, তাও কালকে নদীত চলি গেচে। হামারগুলের জমাজমি, বাড়িভিটা সগি আচিলো। নদী ভাঙি এহন কিচুই নাই।নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান চান ভূক্তভোগী তিস্তা পাড়ের মানুষ।
সোমবার সন্ধায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
—