: খাদ্য ভেজাল, নকল প্রসাধনি, খাদ্যে ক্ষতিকারক, কেমিক্যাল মিশ্রনসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা।
মাঝে মধ্যে প্রশাসনের নজরদারীতে অভিযান পরিচালনা হলেও টঙ্গীতে বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে পচা মাছ, অজানা প্যাকেটজাত মাংশ, জবাইকৃত পশুর মাংশের সাথে মিশ্রন করে রক্তমিশ্রিত করে বিক্রি হচ্ছে দেধারছে। এছাড়াও ওজনে কম দেওয়া অভিযোগ রয়েছে একাধিক ভোক্তভোগীর।
সরেজমিন ঘুরে টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া নতুন বাজার আমিন মোল্লা বিজনেস কমপ্লেক্সে (সামাদ খা বাজারে) গিয়ে জানা যায়, বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা খাওয়া অনুপযোগী মাছ বিক্রি করে থাকেন।
মাংশের দোকানগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য শাখার পশু জবাইয়ের সনদ ছাড়াই মাংশ বিক্রি করছে। এমনকি অজানা প্যাকেটজাত মাংশ মিশ্রণ করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক রহিমা আক্তার জানান, বাজার থেকে এক কেজি মাছ কিনে ওজন দেয়ার পর দেখি ৮শত গ্রাম। প্রতিনিয়ত এভাবে প্রতারিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এমনকি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাংশ হতে শুরু করে নিত্যপন্ন মুদি দোকানগুলোতে পণ্য তালিকা দেওয়া নাই।
এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি টিটু জানান, ওজনে কম দেয়ার বিষয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। অনেক দোকানদারকে বাজার থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাঝে মধ্যে মনিটরিং জোরদার থাকলে ভালো হতো।
এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন অ ল-১ ফুড ইন্সপেক্টর আসাদ জানান, আমরা বিভিন্ন বাজারগুলোতে প্রায় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল খাদ্য, ওজনে কম দিয়ে থাকে। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।