নোয়াখালীর সেনবাগ ও বেগমগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে র্যান সদস্য পরিচয় দিয়ে স্কুল শিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনকে ভয়ভিতি দেখিয়ে অর্থ আধায়ের অভিযোগে আলাদা অভিযান চালিয়ে মাঈন উদ্দিন (৩৩) ও আবদুল মন্নান প্রকাশ পন্ডিত (৪৬) নামের দুই ভুয়া র্যাবকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
এ ঘটনার সাথে জড়িত আরও তিনজন পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার ১২ নং রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মাঈন উদ্দিন ও একই গ্রামের ইমাম আলীর ছেলে আবদুল মান্নান প্রকাশ পন্ডিত।
এসময় র্যাব-১১ তাদের কাছ থেকে স্থানীয় ৩২ ব্যক্তির নামের একটি তালিকা, র্যাবের ভুয়া প্যাড, নগদ টাকা ও একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃদের বিরুদ্ধে শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে র্যাব বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে এবং তাদেরকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা তাদের র্যাব ও র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও স্কুল শিক্ষকসহ এলাকায় বিভিন্ন লোকজনের থেকে প্রতারণা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতায় আসামিরা র্যাবের প্যাড তৈরি করে, তাতে স্থানীয় লোকজনের একটি নামের তালিকা তৈরি করে। পরে ওই তালিকায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের দ্রুত র্যাব গ্রেফতার করবে এমন হুমকি প্রদান ও তালিকা থেকে তাদের নাম কাটার জন্য ২০-৩০হাজার করে টাকা দাবি করে।
এরই মধ্যে তারা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার রাতে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ রফিকপুর গ্রামের রফিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালায় র্যাব-১১, সিপিসি ৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের একটি দল।
অভিযানকালে বিদ্যালয়ের পাশের সড়ক থেকে মাঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে স্থানীয় ৩২ ব্যক্তির নামের তালিকার র্যাবের ভুয়া প্যাড, নগদ টাকা ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আরেক আসামী আবদুুল মন্নান প্রকাশ পন্ডিতকেও গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১১ সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। এ চক্রের অপর পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।