কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪) ৯ জনকে আসামী করে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রোববার (২২ আগষ্ট) সকালে ফকির মোহাম্মদ ন্যালোর গ্রামে।
আহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ফকির মোহাম্মদ ন্যালোর গ্রামের করিম উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৮) এর সাথে প্রতিবেশি ফসাতু শেখের পুত্র মুকুলু মিয়া গংদের সহিত ৪ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সাইফুল ইসলাম গংরা ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ওই জমি ভোগদখল করছেন।
ঘটনার দিন রোববার (২২ আগষ্ট) সকালে ফসাতু শেখের পুত্র হুককু মিয়া (৪৪), আইয়ুব আলী (৫০), মুকুল মিয়া (৪২), ইব্রাহিম আলী (৫২)সহ আরও ১৬-১৭জন ব্যক্তি উক্ত জমি তাদের দখলে সেখানে যান।
এ সময় সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই রজব আলীকে জমিতে মুকুল গংরা দেখতে পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা ঘটনার প্রতিবাদ করলে মুকুল গংরা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই রজবকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করেন।
এরপর মুকুল মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে সাইফুল ইসলামের মাথার মধ্যখানে চোট দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় হুককু মিয়াও তাহার হাতে থাকা দা দিয়ে সাইফুল ইসলামের থুতনীতে চোট মেরে জখম করেন।
ঘটনা দেখে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী কামিনী বেগম(২৬) ও মা কদভান বেগম (৬২) এগিয়ে আসলে মুকুল মিয়া গংরা কামিনী বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন।
এরপর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে সাইফুল ইসলামের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) মুকুল মিয়াসহ ৯জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৮)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উলিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হাকিম জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।