মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জে গোসল করতে গিয়ে নদীতে ডুবে এক কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে।
অপরদিকে রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্ভর) বিকাল ৩টা পর্যন্ত নিখোঁজ কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং উদ্ধারকৃত নারীর জ্ঞান ফিরেনি বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ কিশোরীর নাম- নাদিয়া বেগম (১৩)। সে জেলার দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে।
আর উদ্ধার হওয়া নারীর নাম- সাদিকা বেগম (২২)। সে একই উপজেলার একই ইউনিয়নের শেখহাটি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্ভর) বিকাল ৩টায় কিশোরী নাদিয়া বেগম ও কয়েকজন ছেলে মেয়ে একসাথে তার বাড়ির পাশে অবস্থিত সুরমা নদীতে গোসল করতে যায়।
সবাই এক সাথে নদীতে নেমে সাতাঁর কাটার সময় নাদিয়া বেগম পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে সহপাটিরা এঘটনাটি তার বাড়িতে এসে জানানোর পর এলাকার লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
কিন্তু কিশোরী নাদিয়াকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্ভর) রাত সাড়ে ৮টায় দিরাই-মদনপুর সড়কের শরীফপুর নামকস্থান থেকে সাদিকা বেগম (২২) কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়।
পরে রাত ১০টায় পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কিন্তু কে বা কারা তারই অবস্থা করেছে তা জানা যায়নি। এব্যাপারে সাদিকা বেগমের ভাই রাজন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন- প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রায় ৫-৬মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে
গিয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়েজখালি গ্রামের জনৈক প্রেমিককে গোপনে বিয়ে করে সাদিকা বেগম। এরপর থেকে তার সাথে পরিবারের কোন যোগাযোগ হয়নি।
এমতাবস্থায় গতকাল শনিবার রাতে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তার পাশে তাকে পাওয়া যায়।
এব্যাপারে দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন- নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধার করার জন্য
ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় নদীতে অভিযান চলছে। আর উদ্ধারকৃত নারীর বিষয়টি তদন্ত চলছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।