শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধনোয়াখালীতে ওসির নম্বর ক্লোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ২ সদস্য...

নোয়াখালীতে ওসির নম্বর ক্লোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি’র) সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো,

চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) থানার মান্দারতলী গ্রামের সেফুল ইসলামের ছেলে নবীর হোসেন (৩২) ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাহী নগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদুর রহমান (৩৪)।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামীদের নোয়াখালী বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে প্রতারক চক্রের ওই দুই সদস্যকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে চরজব্বার থানার পুলিশ।

চরজব্বার থানার অফিষার ইনেচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউল হক জানান, প্রতারক চক্র ৮টি বিকাশ নম্বরে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ভুক্তভোগী। তিনি আরও জানান,

তাদের নাম্বার থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকাগুলো ক্যাশ আউট করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তারা দুজন বিকাশের এজেন্ট হিসেবে প্রতারক চক্রকে সহযোগিতা করেন।

ওসি জিয়াউল হক বলেন, বিকাশ ও বিভিন্ন এজেন্টের সহায়তায় দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তার সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করার চক্রের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত আছে। উল্লেখ্য, সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মনির আহমেদ।

যিনি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ভিন্ন দুটি নম্বর থেকে কল আসে। কলকারী নিজকে চরজব্বর থানার ওসি পরিচয় দিয়ে আসন্ন

নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে তার কাছে টাকা চান। এছাড়া সঙ্গে থাকা আরেক জনকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পরামর্শ

করে অন্যান্য অফিসারদের ম্যানেজ করার জন্য চার লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। মনির চেয়ারম্যান জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ওসি পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির আটটি বিকাশ নম্বরে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে মোট চার লাখ টাকা পাঠান।

এরপর রাত ৯টার দিকে মনির চেয়ারম্যানকে থানায় গিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে বলেন। রাত ৯টার দিকে তিনি থানায় গিয়ে প্রকৃত ওসির সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ