ভোলার তজুমদ্দিনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার আগেই ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে ঘর মালিকের কয়েক লক্ষাধীক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা গ্রামের মোঃ আলী হোসেনের ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষক মাও. মোঃ সিরাজ
পন্ডিতের বসত ঘরে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
ঘটনার পরদিন দুপুর ১২টায় থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশ্ববর্তীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ঘরটি দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ঘরে লোকজন না থাকায় রান্না-বান্নাও হয় না।
এছাড়া ঘরটিতে কোন বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। রাতের গভীরে কেউ ঘরটিতে পেট্রোল মেরে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে।
সিরাজের ভাই মিরাজ উদ্দিন দুপুর আড়াইটায় এ বিষয়ে অভিযোগ করার জন্য থানায় আসলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণে গড়িমসি করে বলে দাবী করে সে। মিরাজ আরো অভিযোগ করে,
‘থানার এসআই আমিনুল ঘটনা তদন্ত করে আসলেও অভিযোগ নিচ্ছে না। অভিযোগে কাউকে আসামী না করে দরখাস্ত লিখে নিয়ে আসার জন্য বলে এসআই আমিনুল ইসলাম’।
সিরাজ পন্ডিতের পিতা মোঃ আলী হোসেন দাবী করেছেন, পুত্রবধুর পরকীয়ার জেরে তাদেরকে হত্যা উদ্দেশ্যে গভীর রাতে ঘরে আগুন লাগানো হয়।
তিনি আরো দাবী করেন, গত ২৪ আগষ্ট রাত ৯টায় লালমোহন ইসলামি ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী রাসেল ফরাজি (২৮) তার পুত্রবধুর সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আমি হাতেনাতে আটক করি।
পরে স্থানীয় আমির ফরাজি পুলিশ আসার পূর্বেই আসামী রাসেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার ছেলে সিরাজ পন্ডিত তজুমদ্দিন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রী করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুত্রবধু জান্নাতুল
ফেরদাউস বাদী হয়ে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় আমার ছেলে সিরাজ ৬দিন যাবৎ জেল হাজতে রয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে অফিসার ইনচার্জ এসএম জিয়াউল হক বলেন, ঘটনাস্থলে এসআই আমিনুলকে পাঠিয়েছি। সন্ধ্যায় তার কাছ থেকে ঘটনা জেনে নিবো।