মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় নারী ও বৃদ্ধসহ ৩০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের জয়কলস গ্রামের রহিম আলীর ছেলে নজির আলী (৩৫), একই গ্রামের সুফিয়ান মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া (২০), আছকির আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (১৮), নাজিম
উদ্দিনের ছেলে মুজিব মিয়া (২৮), মাসুক মিয়ার ছেলে জানে আলম (১৭) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জগজীবনপুর গ্রামের রাকিব আলীর ছেলে জুনায়েদ আহমদ সুমন (২২)।
মৃত ব্যক্তির নাম- লালু মিয়া (৪৫)। তিনি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আর আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় প্রীতি আক্তার (২৫), রোকসানা আক্তার (৩২), রুবা আক্তার (৩০), আয়নাল হক (৬৫), আজিজুল মিয়া (৪৫), তারা মিয়া (৫০) কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কামাল
হোসেন (৩৮), ওয়াসিম মিয়া (২৬) কে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আমির আলী (৫৫), হেলাল মিয়া (৩৫), ছালে আহমদ (৩০), সাইদ আহমদ (২২), সৈয়দুর রহমান (২৮) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালসহ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের সামনে সুনামগঞ্জ-সিলেট আ লিক মহাসড়কে ওই গ্রামের আমির আলীর ছেলে সিএনজি চালক
হেলাল মিয়া তারই প্রতিবেশী শহিদ মিয়ার একটি গরুকে সিএনজি দিয়ে ধাক্ষা দেয়। এঘটনার জের ধরে বিকেলে গ্রাম্য সালিশ বসে। কিন্তু সালিশ চলাকালীন সময় দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাথর নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে উপরের উল্লেখিত ৬জনকে গ্রেফতার করে। আর আহতদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলার ধর্র্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের বসতবাড়ির সীমানা নির্ধারণ করা নিয়ে ওই গ্রামের কামাল মিয়া ও আয়নাল হকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩নারী ও বৃদ্ধসহ উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন ও ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।