হাসান মাহামুদ,শ্রীনগরের বাড়ৈখালীতে বিষের ক্রিয়ায় মারা যাওয়া কিশোর রাকিব(১৬) মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য দীর্ঘ ২ মাসেও উদঘাটন হয়নি।
মৃত রাকিব বাড়ৈখালী ইউপির ৭নং ওয়ার্ড এলাকার মোঃ শহীদের তৃতীয় ছেলে।রাকিব তারই বিয়াইন মুন্নির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।
মুন্নি আক্তার (১৬)পিতা মোঃ মফিজউদ্দিন এর সাথে প্রেমের সম্পর্কই রাকিবের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি মুন্নির পরিবারে জানা জানি হলে মুন্নি কে তার ভাই সজিবের কর্মস্হল সাভার নিয়ে যায়। মুন্নি বাড়ৈখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
পাউসার হতে সাভার চলে গেলেও মোবাইল ফোনে দুজনার নিয়মিত যোগাযোগ হত। ঘটনার দিন মুন্নি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে দুপুর ১২ টা নাগাদ রাকিব কে কল করে জানায়, সে বিষ পান করেছে, আর বাচবে না।
এ খবর শুনে রাকিব বাড়ির কাউকে কিছু না বলে দুপুর একটার দিকে বাড়ৈখালী হতে সাভারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে রাত আনুমানিক ৮ টার সময়।
মৃত্যুপথযাত্রী রাকিব কে বাড়ির লোকজন ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে সঠিক চিকিৎসার অভাবে রাকিবের মৃত্যু হয়।প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয় বিষপানে তার মৃত্যু হয়েছে।
যেখানে মুন্নি বিষ পাণ করার কথা বলে রাকিব কে সাভার নিয়ে যায়, সেখানে সে নিজেই বিষে বিষাক্ত হয়ে তার বাবা মায়ের নিকট ফিরে আসেন। ঘটনার দিন সন্ধায় মুন্নির বড় ভাই সজিব তার
বোন বৃষ্টি আক্তার যে সম্পর্কে রাকিবের আপন ভাইয়ের স্ত্রীর নিকট মোবাইল ফোনে হুমকি দেন যে,রাকিব যদি সাভার আসে তাহলে ঝামেলা হবে, ওখানে মুন্নির সাথে আমার সমন্ধি ও ভায়রা বসে
রয়েছে।তারাও তখন রাকিবের ভাবির সাথে কথা বলেন। রাকিবের বাম হাতে অনেক গুলো কাটা দাগ দেখা গেছে। বাম উরুতে বড় মাপের জখম।
বিষপানেই যদি মৃত্যু নিশ্চিত হয় তাহলে উল্লিখিত জখম আসলো কোথা হতে ! তার পরিবারের দাবি নির্যাতন সইতে না পেরে সে বিষপাণ করেছে না হয় তাকে কোমল পানীয়ের সাথে তারাই বিষ পাণ করিয়েছে।
ঘটনার দিন রাকিব সাভার স্টান্ডে গিয়ে মুন্নিদের বাসার খোজ করছিলো বলে মুন্নির বাবা মোঃ মফিজউদ্দিনের দাবি।
মফিজ তার মেয়ে কে মোবাইল ফোনে বলেন, রাকিব মুন্নি কে খোজার জন্য সাভার এসেছে,আমি তাকে স্টান্ডে দেখেছি। তার দেখা ও জানার পরও রাকিব বাবা মায়ের কুলে ফিরলো লাশ হয়ে।
এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। দীর্ঘ ২ মাস পেরিয়ে গেলেও মৃত্যু না অপমৃত্যু না আত্মহত্যা প্ররোচণা তা উদঘাটন হয়নি। রাকিবের পিতা শহিদ মিয়া ন্যায় বিচারের আশায় থানা পুলিশসহ ধারে ধারে ঘুরছেন। এ ব্যপারে
রাকিবের পিতা শহিদ মিয়া বলেন, আমার ছোট ছেলেকে ফোনে সাভার ডেকে নিয়ে চরম নির্যাতন করা হয়েছে, আমি এর বিচার চাই,আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
রাকিবের মা লায়লা বেগম বলেন, যারা কৌশলে আমার বুকের ধন কেড়ে নিয়েছে,আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবো। ঘটনার পর হতেই মুন্নির পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।