মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচ যত ঘনিয়ে তত বাসছে নির্বচনী সহিংসতান । উক্ত ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হায়দার বকশির আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল
ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে। বুধবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে এই হামলার ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহত এবং আটককৃত সবাই আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থক
বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলী হায়দার বকশির ছেলে ইব্রাহিম বকশি, কর্মী মনতাজ মিয়া, আবদুর রহিম, চৌধুরী মিয়া, তারেক হোসেন, মাঈন উদ্দিনসহ ১০জন। আহতদের মধ্যে ইব্রাহিম বকশিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি
আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দুপুরে স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকরা শান্তিরহাট বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রবের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাদের ছবি, চেয়ার-টেবিল
ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় শান্তিরহাট বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার দিকে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হায়দার বকশির আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেল নিয়ে একটি শোডাউন নিয়ে শান্তিরহাট বাজারে আসলে উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকলে নৌকা প্রতীকের
কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনারস প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের পিটিয়ে কয়েকজনকে আহত করে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী
আলী হায়দার বকশি বলেন, বিনা উস্কানিতে নৌকার প্রার্থী আবদুর রবের নেতৃত্বে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে আমার ১০জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে তারা আমার ৫জন কর্মীকে ধরে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আবদুর রবের
লোকজন। অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রব জানান, স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আলী হায়দার বকশি এবং জসিম উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে বার বার আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন, ভাঙচুর ও কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আজ দুপুরে প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের
লোকজন শান্তিরহাট বাজারে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরের ছবিসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। সন্ধ্যায় একই স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হায়দার বকশির লোকজন আমার কর্মীদের হামলা করে। ঘটনার সময় পুলিশ
সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন। সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার
অভিযোগে ৫জনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।