গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হক বলেছেন- বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না। কারণ ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক পাঠালেও তিনি সেচ্ছায় ক্যান্টলমেন্টে থেকে যান। শুধু তাই নয়, ওই সময় তিনি বলেছিলেন যুদ্ধকালীন সময়ে ওই এলাকায় থাকা নিরাপদ নয়। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তিনি ক্যান্টালমেন্টে এসে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। সেচ্ছায় যারা ক্যান্টালমেন্টে অবস্থান নিয়ে তারা কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনা।
আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্ভর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শিল্পনগরী ছাতক উপজেলার শেখ রাসেল পৌর মিনি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মন্ত্রী তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আরো বলেন- বাংলাদেশকে খুনি মুশতাক ও জিয়া পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। এজন্য ইসলামের অপব্যবহার করে তারা ভাউতা দেয়। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় দূর্ণীতিতে তারা ৪ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তাদের কাছে এতিমদের টাকাও নিরাপদ নয়। সেই মামলার সাজায় বেগম খালেদা জিয়া জেল খাটছেন। কিন্তু তাকে সুযোগ দিয়েছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন- তারা ক্ষমতায় ছিল ২৯ বছর। কিন্তু কোন উন্নতি করে নাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ। আমরা ক্ষমতায় আসার পর কি পরিমানে উন্নয়ন হয়েছে তা চারদিকে তাকালেই বুঝা যায়। এছাড়া আমি মন্ত্রী হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের ভাতা ৩ হাজার থেকে ২০হাজার টাকায় করে দিয়েছি। সকল বধ্য ভূমিকে সংরক্ষণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা উদ্যোগ নিয়েছি।
যাহাতে ৫০বছর পরও এদেশের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেখে চিনতে পারে। নতুন করে রাজাকারদের তালিকা করা হবে। যেহেতু সবার অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে এদেশে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিনরাত কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ ৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট ৩ আসনে এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি শামিমা শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার নুরুল মোমেন প্রমুখ।