মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া বাজারে মসজিদের জায়গা ও সরকারি জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে ওই এলাকার একজন ব্যক্তি বাবুল মিয়া।
ওই এলাকায় গত ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুরুয়া বাজারে মুসুল্লিদের জন্য আনুমানিক ২০-২৫ বছর পূর্বে ৫ শতাংশ জায়গাতে একটি মসজিদ ঘর নির্মাণ করা হয় ওই এলাকার দানবিক ব্যক্তিগণ সাবকওলা রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন।
পরে ৩ শতাংশ জমিতে মসজিদ ঘর নির্মাণ করা হয়। বাকী ২ শতাংশ জমি কুরুয়া বাজারের রাস্তার পাশে মসজিদের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজে উম্মুক্ত রাখা হয়।
এ সুযোগে বাবুল মিয়া জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করে অন্য লোকদের কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
মসজিদের জায়গা বেদখল হওয়ায় মসজিদের মুসুল্লীদের যাতায়াত সমস্যাসহ ওযু খানার পানি বের হওয়ার জন্য ড্রেনের কাজ না করতে পারায় মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
গত রমজান মাসে এ বিষয়ে বাবুল মিয়ার সাথে মুসুল্লীদের কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে বাবুল মিয়া মসজিদের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। পরে শ্রীবরদী থানার ওসি সাহেব এর হস্তক্ষেপে ওই তালা খোলা হয়।
এছাড়াও কুরুয়া বাজারের মেইন রাস্তার পাশে ও ইলেকট্রিক ট্রাান্সফরমার নিচে বাবুল মিয়া একটি টিকিট কাউন্টার খুলে
জায়গা দখল করায় যানযট লেগেই রয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকারর অটোরিকসা সিএনজি ড্রাইভার ও মালিকরা জানান, বাবুল মিয়াকে প্রতি অটো ও সিএনজি প্রতি ২০ টাকা করে চাদা দিতে হয়।
না দিলে কুরুয়া বাজারে কোন অটো বা সিএনজি রাখতে দেওয়া হয় না। এছাড়াও মসজিদ সংলগ্ন বাজার উন্নয়নের একটি মার্কেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ওই কাজের বালি খোয়া সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেওয়ার জন্যে জায়গাটিও বন্ধ করে রেখেছে বাবুল মিয়া। এ ব্যাপারে ঠিকাদার বাজারের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার মুসুল্লীসহ ভুক্তভোগী লোকজন।
এব্যাপারে বাবুল মিয়া বলেন এসব জায়গা আমার নয় তবে প্রশাসনের লোকজন আমাকে সরে যেতে বলে নাই তাই আমি অফিস বানিয়ে দোকান ও টিকিট কাউন্টার দিয়েছি। সরকারি ভাবে আমাকে বললে আমি চলেযাব।