শ্রীনগরে সাংবাদিকের শিকড়সহ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন শীর্ষ ভূমিদস্য ও অবৈধভাবে মাটি বিক্রী চক্রের হোতা মানিক মোড়ল নামে এক মাটি খেকো। তিনি হাসাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত সোবহান মোড়লের ছেলে।
কয়েক বার কারাবরণকারী মানিক স্হানীয় একটি চক্রকে সাথে নিয়ে দেশের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কৃষি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে।
যার ফলে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চৌধুরী রোড সংলগ্ন স্হানের মহাসড়কের কিছু অংশ ব্যপক ঝুকির মধ্যে পরতে পারে।
জমির পাশে হেলে পরা বিদ্যুতের খুটি ধসে যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। বিদ্যূতের খুটির গোড়ায় মাটি না থাকায়,শুকনো কচুরী পানা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তার পিছু দিয়ে ১২ ফিট দৈঘ্যের একটি প্রবাহমান খাল ছিলো এটি সম্পূর্ণরুপে মেরে ফেলা হয়েছে অথচো পানির প্রবাহ সৃষ্টির জন্য চৌধুরী রোডে প্রবেশের একটু সামনেই অংশেই নির্মীত হয়েছে ব্রীজ।
অন্যদিকে তার পশ্চিম দিক হাইওয়ে রাস্তা। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মাটি খুরেই ক্ষান্ত হয়নি শীর্ষ মাটি-বালু খেকো চক্রটি।
সেখান হতে বালু উত্তোলন করে বিক্রী করার জন্য বসানো হয়েছে ড্রেজার।মহাসড়কের পাশে ৮/১০ ফুট মাটি কাটার পর বালু উত্তোলন মহাসড়কের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বিষয়টি জানার জন্য গত ৯ তারিখ রবিবার দুপুরে শীর্ষ ভূমিদস্যু মানিক মোড়লের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি সাংবাদিকদের হাসাড়া ফিলিং স্টেশনে যেতে বলেন, সেখানে পৌছলে, মানিক দায়িত্বরত সাংবাদিকদের আস্ফালন দেখিয়ে বলেন, আমার হাত অনেক বড়।
আমার কথায় বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গনও উঠা বসা করে, আমি মাটি বালু সব তুলবো আপনাদের কি, আমাকে চিনেন? আমার বিরুদ্ধে লিখবেন,লিখেন সাংবাদিকদের শিকড়সহ তুলে ফেলবো।
বাড়ি হতে তুলে নিয়ে আসবো। আমার সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নেই, আমি মুন্সিগন্জ আদালতে এজলাসে দাড়িয়ে ম্যাজিষ্টেট কে দিয়ে মামলা খালাশ করাই। আমার সম্পর্কে ভালো করে জেনে
নিন,আপনাদের সাহস কত বড় আমি মাটি বিক্রী করছি এই খবর নিতে এসেছেন? আমি সেনাবাহিনী কে মাটি দেই,তারাই এখানে আমাকে খনন করে বালু তুলতে বলেছেন।
এ সময় কোন কর্মকর্তা আপনাকে মাটি কাটতে বলেছেন, জানতে চাইলে কয়েক জনের নাম বলেন।তাদের মোবাইল নাম্বার চাইলে দিতে পারেন নি।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের শ্রীনগর প্রতিনিধি ও শ্রীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সস্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন জনি বাদী হয়ে ১০ তারিখ সোমবার সন্ধায় শ্রীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন জনি মুন্সিগন্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন জেলা কমিটির সদস্য।
এ ব্যপারে ফরহাদ হোসেন জনি বলেন, মহাসড়ক লাগোয়া কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রীর অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে, তিনি আক্রমন করতে উদ্যত হয়ে বলেন,আমার বিরুদ্ধে লিখলে বাড়ি হতে তুলে নিয়ে আসবো।
আমাকে চিনেন? আমার সাথে থাকা অনান্য সংবাদ কর্মীরা পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই মোঃ মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।