ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘বিশেষ অভিযানের’ প্রায় এক মাস হতে চলছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনও।
এরই মধ্যে রাশিয়ার রণকৌশল নিয়ে শনিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ব্রিটিশ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেন পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে এক টুইটার পোস্টে দাবি করে, রাশিয়া রণকৌশল বদলাচ্ছে। রাশিয়ার এই কৌশলের কারণে ইউক্রেনে আরও বেশি বেসামরিক
নাগরিকের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
ওই টুইটার পোস্টে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত তার আসল উদ্দেশ্য
অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়া ‘ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের মাত্রা এবং উগ্রতা দেখে অবাক হয়েছে’ বলেও দাবি করা হয়েছে ওই টুইটার পোস্টে।
এই কারণে রাশিয়া তার কৌশলগত পন্থা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে বলে টুইটারে দাবি করা হয়েছে।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, নতুন কৌশলে বন্দুকশক্তির নির্বিচার ব্যবহার করা হতে পারে। যার ফলে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ইউক্রেনীয় অবকাঠামো ধ্বংস হবে এবং মানবিক সঙ্কট আরও তীব্র হবে।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কথার প্রমাণ মিলিছে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডে। ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ শনিবার এই তথ্য জানান।
ইগর কোনাশেনকভ বলেন, মস্কো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ভূগর্ভস্থ গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে। ওই গুদামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ইউক্রেনের সেনাদের
বিমানের গোলাবারুদ’ ছিল বলে তিনি তিনি দাবি করেন। এর আগে রাশিয়া কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ২ হাজার কিলোমিটারের (১২৪২ মাইল) বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এবং যে কোনো আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে পারে।
সাধারণত হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক নিচু দিয়ে লক্ষ্যের দিকে উড়ে যায়। এসব হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুটতে পারে শব্দের চেয়ে পাঁচ থেকে নয় গুণ বেশি গতিতে।