কুড়িগ্রামের চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে গাছ চুরি প্রমাণিত হয়েছে।মঙ্গলবার মামলার তদন্তে স্বাক্ষী ও স্থানীয় জনসাধারনের জিজ্ঞাসাবাদে ৯টি গাছ চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২৮টি গাছের গুড়ি উদ্ধার করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই
আতিকুর রহমান। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে গত ১২ মার্চ ২০২২ইং চিলমারী মডেল থানায় দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্তকালে গাছ চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় কাঁঠাল গাছের ৮টি, মেহগনি গাছের ৬টি ও ইউক্লিপটাস গাছের
১৪টি সহ মোট ২৮টি গুড়ি রনি মোড়ে অবস্থিত হারেছ মিয়ার ‘ছ’মিল থেকে উদ্ধার করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, চিলমারী সিনিয়ির আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একরাম উদ্দিন মাদ্রাসার মুল ভবন নিলাম ছাড়াই ভবনের ৩৩০টি টিন, ৬৫টি মটকা, ৯৫৭ কেজি লোহার এঙ্গেল,
৪৩২ কেজি লোহার রড, লোহার এঙ্গেল ও প্লেনসিড দিয়ে তৈরী ৮টি দরজা এবং ২৪টি জানালা, ৪৫ হাজার ইটসহ মোট সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্নসাত করেছেন। শুধু তাই নয় মাদ্রাসার ১ লক্ষ টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রজাতির নয়টি গাছ চুরি করে বিক্রি করেন। অধ্যক্ষ একরাম
উদ্দিন ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকেই মাদ্রাসাটিকে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে ক্ষমতার বলে তার ছেলে মাহফুজার রহমানকে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেন। প্রতিষ্ঠানে বাবা ছেলে মিলে করে অনিয়মের কাজ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সকল
জিনিসপত্র নিজের মত করে পরিচালিত করে আসে, মন যখন যা যায় কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি যা খুশি তাই করেন। দিনে দিনে তার এমন অনিয়ম, দূনর্ীতি বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কৌশলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমানকে সভাপতি থেকে বাদ দিয়ে
আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি করেন। তাকে নাম মাত্র সভাপতি করে তিনি এমন অপকর্মগুলো চালাতেন। এদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গাছগুলো উপজেলা সদরের থানাহাটের রনি মোড়স্থ হারেছ মিয়ার ছ’মিলে রাখলে মামলার তদন্তে গাছ চুরির বিষয়টি প্রমাণিত
হওয়ায় গাছগুলো পুলিশ উদ্ধার করে চিলমারী থানায় নিয়ে আসেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক, গভর্নিং কমিটির সদস্যসহ এলাকাবাসী দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার দাবীসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।