সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আরো ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- এরশাদ মিয়া (৪৫)। সে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় অভিযান চালিয়ে এরশাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিয়ে এপর্যন্ত মোট ৩৯জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও সাম্প্রদায়িক হামলার এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে বরখাস্থ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
শাল্লা থানার নবাগত ওসি নুরে আলম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন- গ্রেফতারকৃত এরশাদ মিয়া দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত ৪০নাম্বার আসামী।
উল্লেখ, গত ১৭ মার্চ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে কুটক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের যুবক ঝুমন দাস আপন। এঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৭টি বসতবাড়ি ও ৬টি মন্দির ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এঘটনার প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ থানায় ৭০-৮০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪০০জনকে আসামী করে থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়।