গাজীপুর মহানগর টঙ্গীর ৫১নং ওয়ার্ড এলাকায় মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নিদের ওয়ারিশান সম্পত্তি থেকে বেদখল করার নানা অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে মামা ফারুক আহম্মেদ।
সম্মত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামার বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার ও হয়রানি থেকে বাচঁতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চেয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়
নজরুল ইসলাম লস্কর বাদী হয়ে সুফিয়া খাতুন ও মোঃ ফারুক আহম্মেদকে বিবাদী করে একটি লিখিত পিটিশন মোক্কাদমা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন মোক্কাদমা নং-২৫৮।
নালিশী সম্পত্তির তফশীল জেএল সাবেক ১১১ আর এস ৩৩ খতিয়ান নং-আর এস ৩৪১ দাগ নং-বি এস ও এ এস এ ৫১৯ আর এস ৪৯১ জমির পরিমান ২ কাঠা এবং জে এল সাবেক ১১১ আর এস ৩৩
খতিয়ান নং- আর এস ২৯৭ দাগ নং সি এস ও এস এ ৪১৯ আর এস ৪৯১ জমির পরিমান ১ কাঠাসহ আরো ওয়ারিশান আধা কাঠা আওয়াতাভূক্ত।
উক্ত সম্পত্তির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রেররণের মাধ্যমে সমযোতা বিচারিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে গত ১৭ নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে একটি আপোষ বন্টন নামা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উক্ত স্বাক্ষরিত চুক্তি নামায় ফারুক আহম্মেদ ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে স্বাক্ষরের স্থানে জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিল না রেখে ভূয়া স্বাক্ষর করে।
পরবর্তীতে ফারুক আহম্মেদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে জানা যায় চুক্তিনামায় ভূয়া স্বাক্ষর করেছে।
বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর কার্যালয় অবগত করলে পরবর্তী সময় উভয় পক্ষকে বিগত ৬ই এপ্রিল সমযোতা আপোষনামায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করে সই স্বাক্ষর করে।
যা পরবর্তী সময় ফারুক আহম্মেদ অসৎ উদ্যেশ্যে হাশিল করার অপচেষ্টায় বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য টঙ্গী পশ্চিম থানায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফারুক আহম্মেদের ভাগ্নি মোছাঃ রিয়া আক্তার প্রতিবেদককে জানান আমার মামা বিভিন্ন সময় আমাদের উপর পাশবিক অমানবিক নির্যাতন করেছে, যা আমরা নিরবে নিভৃত্তিতে সহ্য করে নিয়েছি।
সর্বশেষ আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন বাড়ি ভাড়া থেকে দীর্ঘ ৬-৭ মাস বঞ্চিত করে রেখেছিল। এমনকি আমার বাবা তার নির্যাতনের ভয়ে ২০ দিন যাবৎ বাড়ীর বাহিরে ছিল।
বিষয়টি আমরা স্থানীয় কাউন্সিল’র মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করলে একটি সঠিক সমাধান পেয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে মামা ফারুক আহম্মেদ বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে মিথ্যার
আশ্রয় নিয়ে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এমনকি আমাদেরকে সম্মত্তি থেকে উচ্ছেদ অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। তার দ্বারা আমাদের যে কোন সময় বড় ধরণের ক্ষতি আশংকা রয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় ফারুক আহম্মেদ একজন প্রতারক প্রকৃতিক লোক বটে। অভিযোগ রয়েছে একাধিক বিয়েসহ মানুষের সাথে বিভিন্ন সময়ে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ফেৎনা ফ্যাছাদ সৃষ্টি
করে তার স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে। এমনকি জন্ম দাতা পিতা মাতাকেও মার ধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফারুক আহম্মেদের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।