বশির আলম, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গণমানুষের নেতা ভাওয়াল বীর মহান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর ১৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের স্বনামধন্য শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ নানা কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষক মন্ডলী ও অভিভাবক সদস্যগন গত ৭মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর কবর জিয়ারত ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
গত ৯ মে বিকেলে প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে স্মরণ সভা দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করেছে, এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ
মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল শিক্ষক জিএম ফারুক, সহকারি প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, জৈষ্ঠ প্রভাষক সাদেকুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য ওমর ফারুক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার৷ এটি শুধু একটি নামই নয়, একটি আদর্শ। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, জনপ্রিয় রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমানুষের অতি কাছের মানুষ। ছিলেন মেহনতি শ্রমিকের বন্ধু।
তাঁর আলোয় আলোকিত হয়েছিল গোটা গাজীপুর তথা বাংলাদেশের রাজনীতি। হয়ে ওঠে ছিলেন তাঁর কালে কিংবদন্তি। ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের হায়দারাবাদ গ্রামে জন্ম আহসান উল্লাহ মাস্টারের।
আমৃত্যু তিনি কাটিয়ে গেছেন মাটির ঘরে। ঘুণে ধরা সমাজ আর পচনশীল রাজনীতিরতে তিনিগা ভাসাননি । ছিলেন একেবারেই ব্যতিক্রম।
নীতি-নৈতিকতা ছিল তাঁর অনন্য সম্পদ। ফলে সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতিকে পেছনে ফেলে তিনি অবিরাম ছুটেছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। জয় করেছেন তাদের মন, ভালোবাসা।
বাঙালির সম্মান, গৌরব, মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে যে সকল রাজনীতিবিদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে একজন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার। শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি।
তাঁর সংগ্রাম ছিল শ্রমিক-কৃষক- মেহনতি জনতার জন্য। তাঁদের জন্যই তিনি রাজনীতি করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষসহ সবাইকে আপন করে নেয়ার এক দুর্লভ গুণ তাঁর মধ্যে ছিল।
শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে এবং তাদের স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টায় কোনোদিন তাঁকে পিছপা হতে দেখা যায়নি। আলোচনা শেষে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া কামনা করা হয়।