রতন মিয়া,নেত্রকোনা সদর উপজেলার ২০২১-২২ অর্থ বছরের ৪টি পিআইসির প্রকল্গের আওতাধীন মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৫.৫৯ হেক্টর নদী,বিল ও খাল প্রায় ৫৮
লক্ষ টাকায় পুনঃ খনন করা হয়েছে। এ পুনঃখনন কাজ ইতোমধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের যোগাবিল
(৫-৬) অংশ এবং আমতলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া খাল (১-২)অংশ প্রকল্পের অন্তর্গত। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে নদী ও খাল -বিল পুনঃখননে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে পুনঃখনন কাজের
যোগাবিলের ২ টি অংশে মোট ৩২ লক্ষ টাকা এবং নয়াপাড়া খাল ২ টি অংশ ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। এলাকাবাসী জানান, দ্রুত পুনঃ খনন কাজ সম্পন্ন করাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা ।
তাদের অভিমত নদী পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময় সঠিকভাবে শেষ করায় সবাই খুশি।এতে এলাকার মৎস্য ও কৃষি উন্নয়নে যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে ও জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও তারা
বলেন,সংস্কারের ফলে সারা বছর পানি ও মাছ থাকবে। আগামী মৌসুমে কূষিতে পানি সংকটময় অবস্থায় আর পড়তে হবে না বলে আশা করেন। এদিকে যোগাবিলের পিআইসির সংলিষ্ট বাংলাদেশ
আওয়ামী মৎস্যলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সুকুমার বর্মন সৌরভ বলেন- মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতাধীন পুনঃ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছি দুটি ।সবকিছু মিলিয়ে বরাদ্দের
মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকা হতে মাত্র ১২ লক্ষ টাকা বিল পেয়েছি। কিন্তু মৎস্যের কাজ করে তেমন সুফল হয় না বলে ও মন্তব্য করেন তিনি ।এছাড়াও যোগাবিলে কাজ ধার দেনা করে সম্পন্ন করা হয়েছে
যদিও বিলের টাকা বাকি। তারপর ও বিল পেতে দেরি হয়। এদিকে নয়াপাড়া পিআইসির-১ এর সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ রুবেল মিয়া জানান, ২০২১-২২ অর্থ
বছরের বাস্তবায়নাধীন জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন এতে করে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে । তিনি আরো
বলেন,এ খাল সংস্কারের বরাদ্দের মধ্যে ৭ লক্ষ টাকা পেয়েছি। সংস্কারে এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়েছে এবং একদিকে যেমন মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে আবার অন্য দিকে খালের কিছু অংশ দখলমুক্ত ও হয়েছে। পরবর্তীতে মাছ ছাড়া হবে ও বলে ও জানান তিনি।