রতন মিয়া, “দাবি মোদের একটাই, নিরাপদ সড়ক চাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনার পূর্বধলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এ সময় মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে একত্রিত হয়ে বিভিন্নস্তরের শত শত মানুষ অংশ নেয়। শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চৌরাস্তা বাজার এলাকার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি মহাসড়কে ২ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
“শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন” এর ব্যানার ও “পাপড়ি রক্তদান ফাউন্ডেশন” এর ব্যানার সম্বলিত ব্যানারে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখতে
হবে লেখা সংবলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আন্দোলনকারীগন পুলিশকে সাথে নিয়ে রাস্তায় ওভারলো ট্রাক আটকিয়ে তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং লাইসেন্স বিহীন ও ওভারলোড গাড়িগুলো’র নামে মামলা দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ৭ দফা দাবি গুলো হলো:*অভিজ্ঞ ও বৈধ লাইসেন্সারী চালক দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চালাতে হবে। *অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক দিয়ে ট্রাক চালানো যাবে না। *বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে।
*ওভারলোড ও ভেজা বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে। * প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। *সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।
এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বুলবুল আহমেদ, পূর্বধলা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ, এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য
মারুফ রহমান মাসুম, পূর্বধলা পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকর্মী রাশেদ খান সুজন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড পূর্বধলা উপজেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন এর সমন্বয়কারী মোঃ রাজিবুল ইসলাম রাজিবসহ আরও অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় একহাজার বালুবাহী ট্রাক চলাচল করে। বাংলাদেশের ৭০% সিলেন বা সিলিকা বালু শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি
মহাসড়ক দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে কোনরকম পরিবহন নিয়ম ছাড়াই চলছে হাজার হাজার ট্রাক। ওভারলোড ও ভেজা বালুবাহী ট্রাক চলাচল করার ফলে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে।
বক্তাগণ আরো বলেন,রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে ড্রাইভারদের খাওয়া-দাওয়া করা, গতিবিধি ও নিয়ম নীতি না মেনে অদক্ষ অনভিজ্ঞ চালক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে
দুর্ঘটনার মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সড়ক দূর্ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, পঙ্গুত্ব বরণ করছে। তাই আমরা নিরাপদ সড়ক চাই।”