বশির আলম,মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিএম পি পুলিশ কমিশনার এর নির্দেশনা “সামান্য মাদক নিয়ে ধরা পরলেও তার প্রাপ্তি স্থানসহ এর সাথে জড়িত যত
সাপ্লাই চেইন রয়েছে সকলকেই আইনের আওতায় আনতে হবে”। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মাদককারবারি গ্রেফতার মোছাঃ আশা (৩০) কে গত ৩১জুলাই ০২ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করিয়া
আসামী মোছাঃ মধু (৪৫) ও হাশেম (৫৬) কে ২০ গ্রাম হেরোইনসহ তার নিজ বাসা ,লক্ষীপুরা (কাউন্সিলর অফিসের পাশেই), থানা-সদর, জিএমপি হতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার মেয়ের
জামাই কফিল উদ্দিন (৩০) গ্রেফতার হয় এবং তার ছেলে আসামী সজীব (৩০) পালিয়ে যায়। এ সময় সজীবের ব্যবহৃত কাঠের তালাবদ্ধ ড্রয়ার হতে ৫ টি পিস্তলের গুলি ও মাদক বিক্রির নগদ ৭৬,২০০/-টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিএমপি, সদর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।
জি এম পি পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী মোছাঃ মধু (৪৫) এর বিরুদ্ধে জয়দেবপুর, বাসন, সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ০৪ টি মামলা রয়েছে।
তার স্বামী মোঃ হাসেম (৫৬), পিতা-মৃত আদম আলীর বিরুদ্ধে জয়দেবপুর ও সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় ০২ টি মামলা এবং তার ছেলে সজীব এর বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় ০৩ টি মামলা রয়েছে।
এই মাদক ব্যবসায়ী পরিবার মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উর্পাজন করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। মাদক চক্রটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ জনগনের বিভিন্ন ধরনের
অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ কমিশনার নিদের্শনা অনুযায়ী মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।