গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত দেড়টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে ।
সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময় বেসরকারি টেলিভিশন এশিয়ান টেলিভিশন ও বার্তা বাজারের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় টঙ্গী পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনামুল হক অনিক ও তার সহযোগীরা।
হামলাকারীরা গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী নুর মোহাম্মদ মামুন ও টঙ্গী পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাবেক ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো.সেলিম মিয়ার অনুসারী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১ দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এনামুল হক অনিক ও তার কিশোর গ্যাং বাহিনী হামলা চালায় টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্র লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী রাশেদ খান মেননের বাড়িতে।
সেখানে রাশেদ খান মেননকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এর পর মেননের অনুসারী মো.নুর আলম ও তার মা নুরজাহান কে বেদম মারধর
করে৷ এঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ করতে আসে মেনন, নুর আলম ও তার মা নুরজাহান বেগম। অভিযোগ দায়ের করে ফিরে যাওয়া সময় থানার প্রধান ফটকে এনামুল হক অনিক ও তার কিশোর
গ্যাং বাহিনী সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীদের উপর হামলা চালায়। এসময় ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী।
সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণা করা নিয়ে সাংবাদিক আরিফ চৌধুরীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয় কিশোর গ্যাং বাহিনীর নিয়ন্ত্রক আশরাফুল ইসলাম বাবু সাথে।পরে সাংবাদিক
আরিফ চৌধুরী তার পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও আশরাফুল ইসলাম বাবু এনামুল হক অনিক সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আরিফ চৌধুরীকে বেদম মারধর করে তার পরিচয় পত্র মানিব্যাগ ও
মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আরিফ চৌধুরী বাদি হয়ে
টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তদন্ত করা হবে।