লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকবে কিনা, তা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে দুদিনে এলো দুই রকম সিদ্ধান্ত। একদিন আগের বন্ধের প্রজ্ঞাপন বদলে গেল ২৪ ঘণ্টা না যেতেই। অথচ ছুটি ভেবে বহু কর্মকর্তা কর্মচারী ধরেছিলেন বাড়ির পথ। এমনকি গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলে যাওয়া আসা নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
সংকটময় মুহূর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমন্বয়হীনতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সীমিত করা উচিত স্বাভাবিক ব্যাংকিং সেবা।
১২ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, বন্ধ থাকবে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সার্কুলার দিয়ে যা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকও। এতে করে লকডাউন শুরুর আগের দুদিন হয়রানির শিকার হয়েছেন গ্রাহক ও ব্যাংকগুলো। প্রচণ্ড ভিড়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয় তাদের।
১৩ এপ্রিল দিনভর রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি ব্যাংকে দিনভর এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থার পর সন্ধ্যায় নতুন সার্কুলারে তিন ঘণ্টায় লেনদেন শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে ব্যাংক খুলে রাখতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, গ্রাহক এবং ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলার কি প্রয়োজন ছিল। তার ওপর গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাংকাররা কিভাবে অফিস করবেন সেই প্রশ্নেরও সমাধান হয়নি।
জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মাঞ্জুরুল করিম বলেন, ‘ব্যাংকাররা সেবা প্রদান করতে প্রস্তুত। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নির্বিঘ্নে ব্যাংকে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে নারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কথা চিন্তা পরিবহন ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’
সংকট মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে এমন সমন্বয়হীনতা গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. মাসরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘লকডাউনকে কেন্দ্র করে তার যে পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি সেখানে মনে হয় এটা আরেকটু গোছানো হতে পারত।’
জনসমাগম এড়াতে নিয়মিত ইউটিলিটি বিল, বিভিন্ন ধরনের ইন্সটলমেন্টসহ কম গুরুত্বপূর্ণ সেবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে বলে মনে করে সব পক্ষই।