কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে মানুষের যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। রাস্তা দখলের ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের নাটির খামার বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এতে বিদ্যালয়টির উন্নয়ন
কাজ বন্ধের উপক্রম হয়েছে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের নামের জায়গা দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে,
বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব জমি না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চলাচলের দুর্ভোগ দেখে ২০১৭ সালে নুরুল আমিন নামে একজন দাতা অর্ধ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। পরে সেই জমিতে রাস্তা নির্মাণ করে
শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী যাতায়াত করেন। কয়েক বছর পর দাতা নুরুল আমিন মারা যাওয়ার পর তাঁর অন্যান্য শরিকগণ এখন জায়গাটি দখল দিচ্ছেন না। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অন্যোর বসত বাড়ীর আঙ্গিনা দিয়ে অতি কষ্টে যাতায়াত করছেন। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন,
ফিফা কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা আরম্ভ হওয়ার আগে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় কতিপয় যুবক প্রধান শিক্ষকের নিকট বিদ্যালয়ের ব্যবহৃত প্রজেক্টরটি বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য দাবি করেন। সরকারি সম্পদ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাদের দাবিকৃত
প্রজেক্টরটি দিতে অপারগতা জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়টিতে চলাচলের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ যেন “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। এখন শুকনো মৌসুম দেখে আমরা জমি দিয়ে আসতেছি। বৃষ্টির সময় বিদ্যালয়ে
আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, বিদ্যালয়ের নামে দলিলকৃত অর্ধ শতাংশ জমি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাদিরউজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষকের আবেদনটি পেয়ে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।