মোঃ হাসান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সেচ্ছায় দীর্ঘদিন থেকে আত্মগোপনে থাকা অপহরণ মামলার ভিকটিম বাবুল শীলকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১১ জানুয়ারি ফুলবাড়ী থানার একটি চৌকস টিম ময়মনসিংহ জেলা থেকে তাকে আটক করে। পুলিশ জানায়, গত ১৭ নভেম্বর ২০২২ ফুলবাড়ী
থানায় বাবুল শীল কে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা হয় মর্মে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার স্ত্রী। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় ভুয়া ডিবি তার স্বামীকে আটক করেছে এবং তাকে ছাড়াতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে এমন দাবি করে। ভিকটিমের ৩ বন্ধু পরস্পর যোগসাজশে
বাবুলকে অপহরণ করেছে। অভিযুক্ত ৩ আসামীকে পুলিশ কেন আটক করছে না এবং ভিকটিমকে উদ্ধারে অগ্রগতি না থাকায় বাদীপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশ ও আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। পরে ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক মামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করে
আসামী ও ভিকটিমের বিষয়ে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করেন। স্থানীয় সোর্স, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং দক্ষ তদন্তের মাধ্যমে গত ৯ জানুয়ারি থেকে পরিচালিত ২ দিনের একটানা সাঁড়াশি অভিযানে নওগাঁ, বগুড়া ও ময়মনসিংহ জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ জেলার বকুল তলার একটি
মেস থেকে কথিত অপহৃত বাবুল শীলকে পুলিশ আটক করে। পুলিশ আরো বলেন, বাবুল শীল প্রায় দুই মাস কুড়িগ্রাম, সান্তাহার, নওগাঁ, বগুড়া ও ময়মনসিংহে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তিন থেকে পাঁচ দিন করে অবস্থান করেন। কথিত অপহরণকৃত বাবুল শীল বিজ্ঞ আদালতে আদালতে
সেচ্চায় আত্মগোপনের কথা অকপটে স্বীকার করেন একই সাথে তার যেসব আত্মীয় স্বজন তাকে আত্মগোপনে থাকায় সহায়তা করেছেন তারাও বিজ্ঞ বিচারিকের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক সাক্ষ্য দিয়েছেন। তথাকথিত ডিবি কর্তৃক অপহরন বা তথাকথিত প্রতিপক্ষ কর্তৃক বাবুল শীলকে
অপহরনের প্রায় দু’মাসের পুলিশী অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সত্য উদঘাটন করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। কুড়িগ্রাম জেলার মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, পুলিশের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টায় তার এই অপহরণের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং উক্ত অপহরণ মামলার
রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। কুড়িগ্রাম জেলায় অপরাধ দমনে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে, আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।