চলমান লকডাউনের কারণে অনেক ব্যবসায়ী তাদের মূলধন হারিয়েছে। গতবারের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি কেউ। এবারের বৈশাখেও একটা বড় ক্ষতি হয়েছে। এখন ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি করছেন।
এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী আগামী সোমবার দোকান ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা দোকানপাট ও বিপণী বিতান খোলা রাখার হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের উপর মহলে কথা হয়েছে। রোববার প্রজ্ঞাপন দিলে পরদিন সোমবার থেকে আমরা দেশের সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেবো।
হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের সব ব্যবসায়ীদের মূলধন এখন নষ্ট হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক, তার কাছে আবেদন জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কখনোই আমাদের হতাশ করেনি, কখনো উনার কাছে আবেদন করে খালি হাতে ফেরত আসিনি।
দোকান ও শপিং মল খুলে দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবে বলে মনে করছেন হেলাল উদ্দিন।
সূত্রে মতে, শর্তসাপেক্ষে মার্কেটের দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক বলেন, লকডাউন শিথিল ও শপিং মল-দোকান খোলার চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার বিবেচনা করবে।
মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা বলছেন, সঙ্কটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকার দোকার খোলার ঘোষণা না দিলে আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সরকারের বিধি-নিষেধ মেনেই আমরা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করবো।
এর আগে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর গুলিস্তানে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বিধি-নিষেধের মেয়াদ না বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা। তখন সরকারের তরফ দোকান-শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিলো।