বশির আলম,গাজীপুর টঙ্গীতে ইলিয়াস হোসেন আকন্দ (৫৬) নামের এক শিক্ষকের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন আকন্দ সফিউদ্দিন স্কুলের আইটি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার। ইলিয়াস হোসেন আকন্দ জামালপুর জেলার, সদর থানার বন্দের বাড়ী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
শুক্রবার ২রা আগষ্ট সকালে টঙ্গীর মোক্তার বাড়ি রোডের আউচ পাড়া এলাকায় বাচ্চু টাওয়ারের ৮ম তলায় সি/ওয়ান ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ছোট ভাই মোঃ ফারুক জানান, আমার বড় ভাই ইলিয়াস হোসেন আকন্দ উল্লেখিত ঠিকানায় একটি ফ্লাট কিনে দীর্ঘ দিন যাবৎ স্ত্রী, ছেলে ওমর (২৪), আব্রাহাম (১৪) সহ স্বপরিবারে এই
বাসায় থাকতেন। তার বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। তার ছেলে ওমর অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। সে প্রায় সময় নেশাগ্রস্ত থাকত এছাড়া সে নেশার টাকা জোগাড় করতে ছিনতাই করত এবং সে ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিকবার জেল খেটেছে। আমার বড় ভাই ইলিয়াস হোসেন আকন্দ খুব সাদামাটা মানুষ ছিলেন। ছেলের এসব
কর্মকান্ডে তিনি বিচলিত ছিলেন, কিন্তু তিনি কখনও কোন বিষয়ে রাগান্বিত হতেন না। তিনি ছেলেকে বেশ কয়েকবার মাদক নিরাময় সেন্টারে দিয়েছেন, কিন্ত তাতে কোন লাভ হয়নি। তার পরিবারে এই নিয়ে সব সময় ঝামেলা লেগেই থাকত। ঘটনার দিন সকালে খবর পেয়ে আমি আমার ভাইয়ের বাসায় আসি, এসে দেখি বড়
ভাই তার বাসার মেঝেতে পড়ে আছে। ভাবি ও তার ছেলে ওমর জানায়, ভাই ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমি ফাঁসির সে রকম কোন লক্ষ্মণ দেখতে পায়নি। ভাইয়ের গলায় খামচির মত দাগ দেখেছি। পুরো বিষয়টি আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি।
এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা জানান, ডাক চিৎকার শুনে আমরা নিহতের ফ্লাটে যাই, গিয়ে দেখি ইলিয়াস হোসেন আকন্দ মেঝেতে পড়ে আছে। খাটের উপর একটি চেয়ার ও ফ্যানের দুইটি পাঁখা বাকানো রয়েছে। ফাঁসি দেওয়ার কোন দড়ি গামছা বা কোন আলামত দেখতে পায়নি। ঘরের বিভিন্ন জিনিস ভাংগা ও এলোমেলো রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানায় তিনি আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ এসে নিহতের লাশ নিয়ে যান। টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।