রতন মিয়া,নেত্রকোণাঃ নেত্রকোনা কলমাকান্দা কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী সপ- লাইসেন্স বন্দোবস্তকৃত জায়গা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে মসজিদ কমিটির কিছু ভূমিদস্য। ৫ আগস্টের পর থেকে উচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়ায় পেরিফেরির বন্দোবস্ত প্রাপ্ত মানিক মিয়া কলমাকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় সিধলী বাজারের ১ নং সরকারি কাজ খতিয়ান ভুক্ত পেরাফেরির আওতাভুক্ত এস এ ৩৬৪ ,৩৬৭ ,বিআরএস ৫৪৩ নং দাগের ০.০০৫০ একর ভূমি (২০ বর্গ মিটার) ১০(xiii)২০০৬-০৭/৩৭(xiii)২০০৬-০৭ সপ- লাইসেন্স বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত হয়েছিলেন
সিধলীর স্থায়ী বাসিন্দা ও ভূমিহীন চমক আলীর ছেলে মানিক মিয়া। তিনি যথারীতি সপ- লাইসেন্স ফি বাংলা ১৪৩০ সন পর্যন্ত তা পরিশোধ করা আছে এবং সেই জায়গা মানিক মিয়া নিজেই ১১ টি দোকানপাট করে ব্যবসা করছেন। কিন্তু কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী বাজার মসজিদ কমিটির বাকেরকোনা আঃ মন্নাফ এর ছেলে
সোনা মিয়া (সভাপতি), বানিয়াপাড়ার আসর উদ্দিনের ছেলে নুরু উদ্দিন(সাধারণ সম্পাদক), নেত্রকোনা সদর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের কুবাদ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (ক্যাশিয়ার) এসে দোকান ছেড়ে যেতে বলে এবং হুমকি দিয়ে বলে যদি ভুক্তভোগী মানিক মিয়া ঘর না ছেড়ে দেয় তাহলে ঘর ভেঙে দিবে।
সরেজমিনে ও বাজারে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানিক মিয়া ২০-২৫ বছর যাবত এখানে সরকারি ১নং খতিয়ানে সপ-লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় এখানে অনেকেই আছে সরকারের জায়গায় সপ- লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে জামে মসজিদের কমিটির
উচ্ছেদের কথা বলে তা না হলে প্রতি ফুটে ৪শত টাকা করে দিতে হবে ।এতে করে ৩-৪ টি দোকান ভাড়া দিতে রাজি হলে ও মানিক মিয়া রাজি হয় ।আর রাজি না হওয়ায় তাকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন কমিটির লোকজন।
তারা যে পরিমাণ জায়গা পায় সেটার মধ্যে তারা মসজিদ করেছে এখন ক্ষমতা কাটিয়ে জায়গায় দখল করতে চাইছে। যা রীতিমতো অন্যায় অবিচার। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভূমিদস্যদের হাত থেকে এ অসহায় পরিবারটি সহ বাকি ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করেন।
ওদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটি বলেন, ভূমিহন পরিবার এবং দম্পতির কোন সন্তান নেই এবং কোন সম্পদ নেই তাই ২০০১ সালে সপ- লাইসেন্স এর মাধ্যমে অনুমতি নেই এবং তিলেতিলে গড়ে তুলেছি । এতদিন কোন সমস্যা না হলেও ৫ আগস্ট এর পর থেকেই শুরু হয় জায়গা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ ২০-৩০ জন।
৩ নভেম্বর সকালে মসজিদের ভূমি দখলের মানববন্ধন করেছে। অভিযোগ দেওয়া পর সার্ভেয়ার সরেজমিনে আসলে উনার সাথে ও খারাপ আচরণ করে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উনারা যেন সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে বিচার করেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ নুর উদ্দিন বলেন, ১৫ বছর ধরে দোকান
ঘরের ব্যবসায়ীরা মসজিদকে ভাড়া দিচ্ছে না।গত তিন মাস আগে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এডভান্স সহ ভাড়া দেওয়ার কথা হয় কিন্তু তারা এডভান্স দিতে চাচ্ছেন না তাই দোকান ছেরে দিতে বলা হয়েছে। ঘর কি তারা বেঁধে দিয়েছিল কিনা সেই প্রশ্ন তিনি বলেন, ঘর তারা বেঁধে দিয়েছে আগে ও ভাড়া দিতো কিন্তু মাঝখানে পনেরো বছর যাবত ভাড়া দেয় না এরপর তারা পরে দেখা করবে বলে ফোন রেখে দেয়।
এদিকে কলমাকান্দা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন , উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন এবং খুব দ্রুত উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিস্তারিত দেখে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।