বশির আলম, সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) আয়োজিত, গাজীপুরে ১৮ই জানুয়ারি টেক নগর পাড়ায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে, পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের
ইতিবাচক ভূমিকা, এবং কিভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে, সেই বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সি- ক্যাব আয়োজনে এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সি-ক্যাব ও ১৪টি সহযোগী সংস্থা ‘অপরাজিতা’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী গার্মেন্টস কর্মীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে। কর্মশালায় জানানো হয়, নব্বইয়ের দশকে যেখানে ৮০% পোশাক শ্রমিক নারী ছিলেন, এখন তা ৫০-৬০ শতাংশে নেমে এসেছে।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্য কোনো খাতে এত বিপুল সংখ্যক নারীদের কাজের সুযোগ নেই। পুরুষেরা চাকরি হারালে বিকল্প কাজ পায়, কিন্তু নারীদের জন্য সেই সুযোগ সীমিত। তাই পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমে গেলে সামাজিক সমস্যা ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
বক্তারা জানান, প্রতিবেদন তৈরির সময় নারীদের শুধুমাত্র ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে, তাদের সফলতার গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন এবং পোশাকখাতে নিয়োজিত নারীদের জীবনমান উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সি-ক্যাবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ফারজিয়া আহমেদ ও হাসান জেমস ‘অপরাজিতা’ প্রকল্পের কার্যক্রম এবং নারী কর্মীদের ওপর পরিচালিত গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন। কর্মশালার শেষে সি-ক্যাব নারী পোশাককর্মীদের নিয়ে গভীর বিশ্লেষণী প্রতিবেদন তৈরির জন্য দশজন সাংবাদিককে ফেলোশিপ প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়।
সি-ক্যাব বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে গবেষণা ও যোগাযোগের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।