রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধপঁচা চাল সংগ্রহ করায় কুড়িগ্রামের রৌমারী সরকারি খাদ্য গুদাম সিলগালা

পঁচা চাল সংগ্রহ করায় কুড়িগ্রামের রৌমারী সরকারি খাদ্য গুদাম সিলগালা

পঁচা চাল সংগ্রহ করায় কুড়িগ্রামের রৌমারী সরকারি খাদ্য গুদাম সিলগালা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান।

খাদ্য গুদামের অসাধু কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভিজিডিসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর ভাল চাল কালোবাজারে বিক্রি করে পঁচা চাল সংগ্রহ করার অভিযোগে মঙ্গলবার

রাতে খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে খাওয়ার অনুপযোগী ১৯ মেট্রিকটন চালসহ ১ নম্বর গুদাম সিলগালা করা হয়।

জানা গেছে, ভিজিডিসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ৩’শ মে.টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে রৌমারী গুদামে ঢোকার কথা। সেই মোতাবেক ১৫৪ টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে পাঠানো হয়।

অজ্ঞাত কারণে সেই ভাল চাল না ঢুকিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পঁচা চাল সংগ্রহ করে গুদামে ঢুকানো হচ্ছিল। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আল ইমরান সেই পচা চালের সত্যতা পান।

রৌমারী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বলেন, কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে ১৫৪ মে.টন চাল পাঠিয়েছে। ১’শ মে,টন এখনো নৌকায় আছে। ৫৪ মে.টন ট্রাকটরে আসতে দেরি

হওয়ার কারণে রাতে চাল ঢোকাতে হচ্ছে। এ সময় তিনি কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদামের ৫৪ মে.টনের চালান পত্র দেখান।

এব্যপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, রৌমারী খাদ্য গুদামে পঁচা চাল ঢোকানো হচ্ছে এমন সংবাদের ভিক্তিতে গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় গুদামে ঢোকানো অবস্থায় ট্রাক্ট্রে ৭৭ বস্তা ও গুদামের ভিতরে ১৯ মেট্রিকটন পঁচা চালসহ ১ নম্বর গুদাম সিলগালা করা হয়। তিনি আরও বলেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, রৌমারী উপজেলার জন্য ভিজিডিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য ৩’শ মে.টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে রৌমারী খাদ্য গুদামে যাবে।

ইতোমধ্যে ১৫৪ মে.টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় করা হয়েছে। ৫৪ মে.টন রৌমারী খাদ্য গুদামে চলে গেছে। ১’শ মে.টন চাল নৌকার করে যাচ্ছে নদীতে আছে।

পঁচা চালের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম থেকে পাঠানো চালের নমুনাসহ তদন্ত পাঠাচ্ছি সেটা দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরে কুড়িগ্রাম থেকে চালের নমুনাসহ কুড়িগ্রাম খাদ্য পরিদর্শক পারভেজ হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ও রৌমারী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক

আলাউদ্দিন বসুনিয়াসহ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টীম এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ তদন্ত করে নমুনা চালের সাথে সীলগালা চালের কোন মিল খুজে পাননি বলে জানিয়েছেন তদন্ত টীম।

কুড়িগ্রাম খাদ্য পরিদর্শক পারভেজ হোসেন বলেন, নমুনা চালের সাথে সীলগালা করা পঁচা চালের কোন মিল নেই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ