রতন মিয়াঃ মদন উপজেলার চাঁনগাও ও কাইটাইল ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতু ‘বয়রালা সেতু’। নদীর দু,তীরের অন্তত ২০ গ্ৰামের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র সেতু এটি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্মাণাধীন সেতুর দুপাশের মাটি কাটছে ঠিকাদার। ফলে
ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকার সচেতন মহলে। নেত্রকোণা – মদন – খালিয়াজুড়ি সড়কে অবস্থিত বয়রালা নদীর উপরের বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১৪ কোটি ৫০লক্ষ ৬১ হাজার ৪শত১০ টাকা ব্যয়ে ৯৪.২৭৪ মিলি মিটার টাকা সেতু
নির্মাণ কাজটি পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোঃ মঈনউদ্দীন (বাশি) লিঃ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বয়রালা নদী থেকে মাটি কেটে নির্মাণাধীন ব্রিজের উভয় পাশে মাটি দিচ্ছে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান । এর আগে প্রায় ১০০ ফুট দূরত্বে ড্রেজার বসিয়ে সেতুর পূর্বপাশে ইজারাকৃত নদী থেকে কাঁদা মাটি
কাটছে ঠিকাদার।এখন আবার সেই মাটির নাম করে বেইলি ব্রিজ ও নির্মাণাধীন ব্রিজের নীচ থেকে গভীর করে ভেকু দিয়ে মাটি উঠাচ্ছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, ব্রিজের নীচ থেকেই নদীর মাটি কাটছে ঠিকাদার প্রতিষ্টান ।এ সময় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একটি
ব্রীজ নির্মাণ করতে গিয়ে আরেকটি ব্রীজের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করে ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়ছে। এতে করে উন্নয়নের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। এছাড়াও মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিষেধ করার পরও তারা বলে এটা সরকারি কাজ তাই সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, পাইলিং করার সময় যে মাটি এনেছি তা থেকেই তো কাটছি। মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ প্রতিনিধিকে জানান,অভিযোগ আসার সাথে সাথেই নদী থেকে সেতুর পাশের মাটি কাটতে সম্পূর্ণ
নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নেত্রকোণা সড়ক ও জনপথের সহকারী প্রকৌশলী রাজীব বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছি পাইলিংয়ের স্থান ছাড়াও তারা মাটি কেটেছে পরে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করতে বলেছি।