শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধকোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব টাস্কফোর্সের অভিযানে দুই মাদক কারবারিকে বিপুল পরিমান মাদক ও নগদ...

কোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব টাস্কফোর্সের অভিযানে দুই মাদক কারবারিকে বিপুল পরিমান মাদক ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম. নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব ও টাস্কফোর্সের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক নগদ টাকা সহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসময় তাদের নিকট থেকে ৯৬ বোতল বিদেশি মদ, ১৩২ বোতল ফেন্সিডেল ও নগদ ৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের

৭নং ওয়ার্ডের ব্যাংক রোডে সংলগ্ন ঘর পোড়া বাড়ির মৃত মোঃ এরশাদ উল্যার ছেলে মোঃ আবদুল হালিম প্রকাশ কা ন (৪০) ও মৃত আহসান উল্যাহর ছেলে মোঃ নুর নবী প্রকাশ মিস্টার (৪০)।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে.এইচ তাসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা করে র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-৩, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথম অংশে বিদেশ ফেরত কা নকে

বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে নুর নবীকে মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ই মাদক কারবারির কথা স্বীকার করেন।

তিনি আরও বলেন, আটককৃত আবদুল হালিমের দুই কিডনিতে সমস্যা থাকায় তাকে জরুরিভাবে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ এবং পরবর্তীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী

জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসামি কা ন বিদেশ থেকে এসে জমানো টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসা শুরু করে।

অপর আসামি নুর নবী প্রকাশ মিস্টারের বিরুদ্ধে আগেও মাদক মামলা রয়েছে। তারা উভয় মাদক কারবারির মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত। র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের

কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, র‍্যাবের একটি টিম এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। জব্দকৃত মাদকসহ আসামিদের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে.এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি নিয়মিত খারাপ কাজ করে তাহলে তার ভেতরে কনফিডেন্স চলে আসে।

দীর্ঘদিন মাদকবিরোধী অভিযান না হওয়ায় তারা এই ব্যবসায় জড়িত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। আমরা নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে কারবারিদের কনফিডেন্স ভেঙে দেব। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ