এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে চুরি করে রাস্তার ধারে থাকা মূল্যবান সরকারি জীবন্ত রেন্ট্রি করাই গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাছ কর্তনের এ ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৩ জানুয়ারী)জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণী বাড়ি ইউনিয়নের বৈঠকপুর হইতে
জানজায়গীর গামী সরকারী রাস্তার গাঙ্গারাম নালার উপর নির্মিত ব্রীজের সন্নিকটে । প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সলেয়ার জান গাঙ্গারাম নালার অদূরে সরকারি রাস্তায় পুরাতন একটি রেন্ট্রি করাই গাছ জীবিত অবস্থায় ছিল। গত সোমবার সকালে ঘন কুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে
কামাল খামার ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন একাধিক কাঠুরিয়ার সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজনের অজান্তেই আকর্ষিকভাবে জীবন্ত গাছটি কেটে ফেলেন।কর্তনকৃত গাছটির আনুমানিক মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হবে বলে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক আলতাফ হোসেন তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বিশাল আকৃতির গাছটি বিভিন্ন মাপে কেটে দ্রুত গাছের গুল দুর্গাপুরের একটি “ছ” মিলে পাঠিয়ে দেন। সরকারী একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি
নিয়ন্ত্রণাধীন কোন জীবিত গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পূর্বা অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া সরকারি গাছ সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়া কাটলে তা চুরি হিসেবে গণ্য হবে। জান জায়গীর এলাকার এই রেন্ট্রি করাই গাছটি কাটার ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা অনুসরণ
করা হয়নি বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। এ ব্যাপারে গাছ কর্তনকারী মাদ্রাসা শিক্ষক আলতাফ হোসেনে সাথে কথা হলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, এমন রাস্তার ধারের গাছ তো অনেকেই কেটে নিচ্ছে। আমি না হয় একটা গাছ কেটেছি তাতে কি এমন হয়েছে। জীবিত গাছের
গুণগুলো কোথায় জানতে চাইলে, তার ছেলে এসব দুর্গাপুরের একটি “ছ” মিলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। জীবন্ত গাছ কেটে আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় মানুষ জনের মাঝে তীব্র
ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানান।