নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলা সদরে কালিয়ারা গাবড়াগাতী ইউনিয়নে সিধলী রোডে হাতকুন্ডলীতে গ্রামের একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম ,বাড়িঘর ভাংচুর , লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটেছে। প্রাণনাশের হুমকির মুখে চরম আতংকে রয়েছে বৃদ্ধ আব্দুল রাজ্জাকের অসহায় পরিবারটি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় কয়েক বছর যাবত পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের কালো বদ নজরের নিয়তম শিকারে পরিণত হয়েছে হাতকুন্ডলী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল রাজ্জাকের পরিবার। ভূক্তভোগী ও ভিকটিম বৃদ্ধ আব্দুল রাজ্জাক ভিডিও সাক্ষাৎকার বলেন ,এলাকার
বন্দ পাটলীর আবুল কদ্দুছের ছেলে মো , রফিকুল ইসলামের হুকুমে তার ভাই মিনাল, সাফায়েত, শফিকুল, লাল মিয়ার ছেলে মুন্না, নুর উদ্দিনের ছেলে মিটন, টিটন,ঈমাম হোসেনর ছেলে সাদির,রজব আলীর ছেলে আব্দুল আলী, আবুল আলীর ছেলে বাচ্ছু , দিলুয়ার,হাতকুন্ডুলীর নজরুলের ছেলে ইব্রাহিম,রাজা মিয়ার ছেলে
বাদশা সহ আরো অনেকে। হাতকুন্ডুলীর মৃত রবন আলীর ছেলে রাজ্জাকের সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় দুর্বৃত্তরা জঘন্য অপরাধ নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এবং জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের পরিকল্পিতভাবে মাসুদ আলম ,আলমগীর হোসেন, জসিম উদ্দিন আমার তিন সন্তান ও স্ত্রী রেজিয়া খাতুন কে
দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে । মাসুদ আলমের হাত ভেঙ্গে যায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গিয়ে নীলা জখম হয়। আলমগীর হোসেনের ডান কান কেটে নেয়, তার মাথায় মারাত্মক জখমে বিশটি বেশী সেলাই লাগে। এই দুই সন্তান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কষ্ট
যন্ত্রণা ভোগ করছে । আরেক ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার মা নেত্রকোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ছাড়া আমার ছেলেদের বৌ মিনা আক্তার , সাবিনা আক্তার কে মারধর করে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে, রাস্তা থেকে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা, তিন ভড়ি স্বর্ণ, জমির
দলিল পত্র ঘরের দশ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন পত্র জোর পূর্বক লুটপাট করে নিয়ে বাড়ি ভাংচুর করে। ভূক্তভূগী আরো জানান,৫,৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে এই সব অত্যাচার নির্যাতন করে এবং ৯ আগষ্ট রাতে বনের লাসে দুর্বৃত্তরা আগুন জ্বালিয়ে দেয় খবর পেয়ে নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে
আনে। বর্তমানে আইন আদালত ও থানা পুলিশের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকায় কোন প্রকার আইনের আশ্রয় নিতে পারছি না তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই অভিযোগ সকল কে জানাচ্ছি। আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে আছি। এই ঘটনার ন্যায় বিচার এবং শাস্তি চাই। অন্যদিকে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ
করেও পাওয়া যায়নি। দেশের ক্রান্তিকালে নাম না প্রকাশের শর্তে ওয়ার্ল্ড মেম্বার ও এলাকাবাসী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে জানান, আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে, ব্যক্তিগত বিষয় যেন রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে কেউ যেন গোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।