মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালী প্রতিনিধি,নোয়াখালীর সেনবাগে সুর্বনা রানী পাল নামের এক হিন্দু নারীকে অপহরণ করর সময় স্বামী প্রসেসনজিৎ সহ দুই সহযোগীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে সেনাবাহিনীর নিকট
সোপার্দ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় অপহরণকারীদের হামলায় স্ত্রী সুবর্না রানী পাল, শাশুড়ী রেখা রানী পাল ও শ্যালক শিমুল চন্দ্র পাল আহত হয়েছে। ওই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউপির মইশাই গ্রামের ডাঃ দুলাল চন্দ্রে পালের বাড়িতে। গণপিটুনির শিকার প্রসেনজিৎতের বাড়ি কুমিল্লা সদর
দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামে। সুর্বনার পিতা ডাক্তার দুলাল চন্দ্র পাল জানান, চার বছর আগে প্রসেনজিৎ সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সর্ম্পকে বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রসেনজিৎ তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তিনি ৩
লাখ টাকা দিলেও তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতেই থাকে। দুই বছর আগে মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে এরপর এক সালিশ বৈঠকে দুজনের ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্ত হয়। বিচ্ছেদ কার্যকরের আগে
মেয়েকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা ছিল প্রসেনজিতের। কিন্তু সে দার্যকৃত টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোর পর তার মেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলায় হাজিরা দিতে গেলে দেড়
মাস আগেও একবার স্বামীসহ কয়েকজন আদালত চত্বর থেকে তার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। তখন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে তার মেয়ে রক্ষা পান। দুলাল চন্দ্র পাল আাে জানান, সবশেষ
বৃহস্পতিবার (৮আগষ্ট) মেয়ের জামাই প্রসেনজিৎ দুটি হাইস যোগে ক১৭-১৮ জনের একটি দল সশস্ত্র
সন্ত্রসীতার বাড়িতে অতর্কিতে হানা দিয়ে মেয়েকে অপহরণের চাঙ্গদোলা করে চেষ্টা হাইসে তুলে নিয়ে যাবার
চেষ্ঠ চালায়। এ সময় মেয়েসহ বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী এসে একটি গাড়িতে ভাঙচুর করে প্রসেনজিত সহ তিনজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন। অপরহনের একটি ভিডিও
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেজবুক সহ কয়েকটি ভারতীয় চ্যানেল ও ইউটিউবে সংখ্যলুঘু সম্প্রদায়ের মেয়ের অপহরণ করা হয় বলে ব্যাপক প্রচার চালায়। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি সম্প্রদায়ীক বিষয় নয়। সুর্বনার পিতা ডাক্তার
দুলাল দন্দ্র পাল সাংবাদিকের জানান,বর্তমানে দেশে পরিস্থিতিতে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রসেনজিৎ অতর্কিতে ওই ঘটনাটি ঘটায় একই সে তাদের মন্দিরেও হামলার করার চেষ্ঠা করে বলেও জানান
তিনি। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে দেশের এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার কারণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।