সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের আলোচিত চাঁনপুর সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারীরা। তারা প্রতিদিন কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, ফুছকা, সুপারী,
নাসির উদ্দিন বিড়ি, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করছে। অন্যদিকে দেশীয় রসুন, মাছ ও শাক-সবজি ভারতে পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু বিজিবির পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর
পাওয়া যায়নি। এদিকে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্ভর) রাত ১২টায় চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও জাদুকাটা নদী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭০বোতল মদসহ চোরাকারবারী বদরুল আলম (৪৫) ও ৯১বোতল মদসহ
চোরাকারবারী শাহানুর মিয়া (২১), মেরাজ আলী (২২), দোলোয়ার মিয়া (২৮), মাঈন উদ্দিন (২৬) ও লাল মিয়া (২১) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৯এর সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেফতার হওয়া চোরাকারবারীরা
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মাহারাম, বড়গোফ ও জাঙ্গালহাটি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু এই অভিযানের পর চোরাচালান বন্ধ না হয়ে বেড়ে গেছে বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী সূত্রে
জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্ভর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা, আনন্দনগর, কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর মিয়া, ফখর
উদ্দিন, তোতা মিয়া, বুটকন মিয়া ও তোতলা আজাদগং ভারত থেকে ৩শ বস্তা চিনি, ২৩০বস্তা পেয়াজ,
৪৫৫বস্তা ফুছকা, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, সুপারী ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পাশের শিমুলতলা,
বারোহাল ও কামড়াবন্দ গ্রামসহ বাদাঘাট বাজার ও লাউড়গড় বাজারের বিভিন্ন দোকানে নিয়ে মজুত করে। আর দেশীয় ১৩০বস্তা রসুন, ৫০কেজি মাছ ও শাক-শবজি ভারতে পাচাঁর করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের নয়াছড়া ও
রজনীলাইন এলাকা দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রায় ৩শ মেঃটন কয়লা চোরাকারবারী জামাল মিয়া, নজরুল মিয়া, রুসমত আলী, নজির মিয়া, জহির মিয়া, নাসির মিয়া, রুবেল মিয়া ও হারুন মিয়াগং তাদের বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে মজুত করে।