সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, অবৈধ ভাবে মৎস্য শিকার, নদীর তীর কেটে বালি ও পাথর বিক্রি করাসহ নানান
অপরাধ প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে থেকে ২জনকে গ্রেফতার করাসহ হাওর থেকে আটককৃত ৬জন জেলেকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ রবিবার (১লা ডিসেম্ভর) ভোর থেকে উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা, টেকেরঘাট উচ্চ বিদ্যালয় ও পুলিশ ফাঁড়ির পিছনসহ
নিলাদ্রী লেড়পাড় দিয়ে কয়লা পাঁচার করে নিলাদ্রী লেকপাড়ে অবস্থিত সোর্সদের ১৫টি ডিপুতে মজুত করাসহ এই সীমান্তের বুরুঙ্গা ছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর ঠেলাগাড়ি দিয়ে
পাচাঁর করে জয় বাংলা বাজারের বাঁশের ব্রিজের পাশে ও সোর্সদের বাড়িতে মজুত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সকাল ৬টা থেকে পাশের লাউড়গড় সীমান্তের ১২০৩এর ৩এস পিলার ও সাহিদাবাদ
বিজিবি পোস্টের সামনে দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪শতাধিক লোক দিয়ে পাথর পাচাঁর শুরু হয়। পাচাঁরকৃত পাথর ঠেলাগাড়ি দিয়ে বিজিবি ক্যাম্প ও লাউড়গড় বাজারের চারপাশে ওপেন মজুত
করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। এরআগে গতকাল শনিবার (৩০শে ডিসেম্ভর) রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত লাউড়গড় বডার বাজারের ৩শ গজ পূর্ব দিকে ৭০-৮০জন লোক দিয়ে
ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে শাহ আরেফিন মাজার এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে মজুত করেছে সীমান্ত কিংখ্যাত সোর্স পরিচয়ধারীরা। তারআগে রাত
১১টা থেকে জাদুকাটা নদী দিয়ে ভারতের ভিতর থেকে ৩শতাধিক বারকি নৌকা দিয়ে কয়লা, পাথর, চিনি ও মদ পাচাঁর করাসহ পাশের চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর এলাকা দিয়ে ফুছকা ও চিনি পাচাঁর করে মোটর সাইকেল দিয়ে বাদাঘাট বাজারে নিয়ে যায় সোসরা।