শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
spot_img
Homeপ্রধান সংবাদমজুত করে। সন্ধ্যার পরে সিন্ডিকেডের ২-৩জন সদস্য বিজিবি ও থানা-পুলিশের নাম

মজুত করে। সন্ধ্যার পরে সিন্ডিকেডের ২-৩জন সদস্য বিজিবি ও থানা-পুলিশের নাম

ভাংগিয়ে চাঁদা নিয়ে পাচাঁরকৃত কয়লা ও পাথর ট্রাক বোঝাই করে পাশেরমাছিমপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে যায়।

আওয়ামী লাগের স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন নিয়ে সিন্ডিকেডতৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও পাথর বাণিজ্য করে

চোরাকারবারীরা হয়েগেছে কোটিপতি। তবে বিজিবি অধিনায়ক তসলিমএহসান সুনামগঞ্জে কর্মরত থাকাকালীনসময় ওই সিন্ডিকেডের অবৈধ কয়লা ওপাথর বোঝাই ৮-১০টি ট্রাক ও ১০-১৫টি স্টিলবডি ইঞ্জিনের নৌকাসহ ২শতাধিকঠেলাগাড়ি ও বারকি নৌকা জব্দ করেছেন।

কিন্তু ওই বিজিবি অধিনায়ক চলেযাওয়ার পর এই সীমান্তে সোস পরিচয়ধারী ও চোরাকারবারীদের দাপট বেড়ে যায়।অন্যদিকে আজমঙ্গলবার(৪ফেব্রুয়ারী) ভোর সাড়ে ৫টা পাশের চাঁনপুর সীমান্তেরশিমুল বাগানের সামনে মাহারাম নদীতে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত ৩৯ বস্তাফুছকাসহ ৩টি অটোরিক্সা জব্দ করেছে লাউড়গড় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা।স্থানীয়রা জানায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে৭টা থেকে চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর ও ১২০৩ পিলার এলাকা দিয়ে

২শতাধিক লোক দিয়ে ভারত থেকে ওপেন ফুছকা, জিরা, কম্বল, বিড়ি ও মদ পাচাঁর
করে অটোরিক্সা বোঝাই করে শিমুল বাগানে সামনের রাস্তা দিয়ে বাদাঘাট বাজার,
বারহাল, কামড়াবন্দ ও শিমুলাতলাসহ লাউড়গড় বাজার ও ঢালারপাড় গ্রামের নিয়ে
মজুত করা শুরু হয়। টহলে আসা বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে সোর্স
পরিচয়ধারীরা বিজিবির নামে প্রতিবস্তা ফুছকা থেকে ১৫০টাকা, পুলিশের নামে
১শ টাকা, প্রতিবস্তা চিনি বিজিবি ও পুলিশ ১শ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল
থেকে আলোচনা সাপেক্ষে চাঁদা নিয়ে প্রতিরাতে ওপেন কোটিকোটি টাকার
মালামাল পাচাঁর করছে। আর এই অবৈধ বাণিজ্য চলেছে দীর্ঘদিন যাবত। অন্যদিকে
প্রতিদিন টেকেরঘাট সীমান্তের পুলিশ ফাঁড়ি ও হাইস্কুলের পিছন দিয়েসহ
নিলাদ্রী লেকপাড়, বুরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে শতশত মেঃটন কয়লা
পাচাঁর করে নিলাদ্রী লেকপাড় ও কয়লারঘাটে অবস্থিত বিভিন্ন ডিপুতে ওপেন
মজুত করতেছে সোর্সরা। একই ভাবে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট
এলাকা দিয়ে কয়লা ও মদ পাচাঁর করে দুধের আউটা, নতুন বাজার, তেলিগাঁও,
বানিয়াগাঁও, জামালপুর ও শ্রীপুর এলাকা মজুত করা হচ্ছে। এছাড়া চারাগাঁও
সীমান্তের জংগলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে
শতশত মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের চারপাশে অবস্থিত ১০-১৫টি
ডিপুতে ও ৮-১০জন সোর্সদের বাড়িতে মজুত করে ওপেন বিক্রি করছে
চোরাকারবারীরা। এদিকে বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন ও কচুয়াছড়া
এলাকাসহ মধ্যনগর সীমান্তের বাংঙ্গালভিটা, মাটিরাবন সীমান্তে দিয়ে প্রতিদিন

গরু, মহিষ, মাছ, চিনি, বিড়ি, মদ ও কসমেটিকস পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে।অথচ সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান কর্মরত থাকাকালীন সময়েসীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লা ও চুনাপাথর, বিড়ি, ঘোড়া, গরু ওমাদকদ্রব্যসহ অর্ধশতাধিক চোরাকারবারী ও জুয়ারীদের গ্রেফতার করেছেন।
এব্যাপারে মালামাল জব্দ ও সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে ৪৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ হাফিজুর রহমান (পিএসপি) সাংবাদিকদের
জানান- সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য এই অভিযান অব্যাহত
থাকবে এবং গোয়েন্দা তৎপরতাসহ সীমান্ত অনিয়মের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের
চেষ্টা চলছে।

 

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ