শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
spot_img
Homeআইন-অপরাধলাউড়গড় ও চাঁনপুর সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রোড :

লাউড়গড় ও চাঁনপুর সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রোড :

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের লাউড়গড় ও চাঁনপুর সীমান্তকে নিরাপদ
রোড হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা।
একাধিক মামলার আসামী ও চিহ্নিত চোরাকারবারীরা নিজেদের সোর্স পরিচয়

দিয়ে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে
প্রতিদিন ভারত থেকে পাচাঁর করছে কোটিকোটি টাকার বিভিন্ন মালামাল। এর
ফলে লাখলাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তবে মদসহ ১জনকে গ্রেফতার

করেছে বিজিবি। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী ও চিহ্নিত চোরাকারবারীদের
গ্রেফতারের জন্য নেওয়া হয়না জোড়ালো পদক্ষেপ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) ভোর থেকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা

নদী ও সাহিদাবাদ বিজিবি পোস্টের সামনে দিয়ে ভারতে ৩-৪গজ ভিতর থেকে ২-৩শ
লোক দিয়ে ওপেন কয়লা ও পাথর পাচাঁর শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালী চোরাকারবারী ও
সোর্সরা। তারা পাচাঁরকৃত কয়লা ২০-৩০টা মোটর সাইকেল দিয়ে ও পাচাঁরকৃত

পাথর শতাধিক ঠেলাগাড়ি দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সারাদিন
পরিবহন করাসহ লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের ২শ গজ সামনে জাদুকাটা নদীর তীর
কেটে ২০-৩০টা লড়ি বোঝাই করে দিনরাত অবাধে বালি বিক্রি করলেও বিজিবি

কোন পদক্ষেপ নেয়না। গত ১৫বছর যাবত স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা
সিন্ডিকেড তৈরি করে অসহায় শ্রমিকদের ব্যবহার করে ভারত অবৈধ ভাবে কয়লা ও
পাথর পাচাঁর করাসহ অবৈধ বালি বাণিজ্য করে অনেকেই হয়েগেছে

কোটিকোটি। বর্তমানে এই সীমান্তটি মাদক ও চোরাচালানসহ সোর্স
পরিচয়ধারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে সীমান্ত চোরাচালান
করতে গিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে ও বিএসএফের তাড়া খেয়ে জাদুকাটা

নদীতে ডুবে ও গুলিতে এপর্যন্ত শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত শনিবার
(১৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এই সীমান্তের সাহিদাবাদ এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী
জালাল মিয়া (৬০) কে ৯ বোতল মদ ও ১ বোতল বিয়ারসহ বিজিবি গ্রেফতার করেছে

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ