:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে দিনদিন সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদের দৌড়ঝাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা মহামারি ঠেকাতে ভারতের যাবতীয় মালামাল আদান-প্রদান বন্ধ করা হলেও থেমে নেই সোর্স পরিচয়ধারীরা।
তারা দাপটের সাথে চোরাচালান বাণিজ্য করছে। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) সারাদিন ব্যাপী বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত মদ, চোরাই কয়লা ও পাথরসহ ৪টি ঠেলাগাড়ি আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল (৪ মে) মঙ্গলবার রাতে চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া, বাবুল মিয়া গং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে চাল ও কয়লার সাথে মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে।
এঘটনার খবর পেয়ে সীমান্তের ১১৯৫ এর ৪এস পিলার সংলগ্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ বোতল মদ পায়। যার মূল্য ১৮হাজার টাকা।
পাশর্^বর্তী টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা, বড়ছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া নেতৃত্বে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে।
এসময় অভিযান চালিয়ে সীমান্তের ১১৯৯এর ৩ এস পিলার সংলগ্ন বরুঙ্গাছড়া এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৪শ কেজি কয়লা আটক করে বিজিবি। যার মূল্য ১৮হাজার টাকা।
অপরদিকে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দিয়ে যাদুকাটা নদীপথে ভারত থেকে প্রতিদিন অবাধে পাথর ও কয়লা পাচাঁর করে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল মিয়া, নুরু মিয়া, জসিম মিয়া, এরশাদ মিয়া ও নবীকুল মিয়া রফিক গং।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সীমান্তের ১২০৩ এর ৬এস পিলার সংলগ্ন শাহিদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোর্সদের মজুত করে রাথা ১৩৫ ঘনফুট ভারতীয় পাথর ও ৩২০কেজি কয়লাসহ ৪টি ঠেলাগাড়ি আটক করে বিজিবি।
কিন্তু উপরের উল্লেখিত সোর্সদেরকে কখনোই গ্রেফতার করেনা। তাই র্যাব ও ডিবি পুলিশের সহযোগীতা চেয়েছে সীমান্ত এলাকাবাসী। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের জানান- জব্দকৃত অবৈধ মালামাল শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাককে।