কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাফজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযােগে গােলাম মােস্তাফা (২৪) নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে রৌমারী থানার পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আবু হােরায়রা নুরানী মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আবু হােরায়রা নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সজিব (১০)সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘুমাছিল।
ঘুমের কিছুক্ষনের মধ্যে ওই মাদরাসার শিক্ষক গােলাম মােস্তফা শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে বেধরক মারপিট করতে থাকেন।
এসময় সজিব, কাউসার, ফাহিম, মিশকাত ও মােস্তফা মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য তাদেকে মাদ্রাসার শ্রেণীর কক্ষে আটক করে রাখেন ওই শিক্ষক।
পরে সন্ধ্যার দিকে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সজিবক উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সজিবের বাবা বাদী হয়ে হাফেজ গােলাম মােস্তফাকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাোন্তাছির বিল্লাহ জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযােগ পেয়েছি এবং আসামীকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।