সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড়, চাঁরাগাঁও, বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তে দিনদিন বেড়েই চলেছ সোর্সদের দৌড়াত্ব।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ভারত সীমান্ত বন্ধ রাখলেও সোর্সরা লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা, পাথর, মদ,গাঁজা, ইয়াবা, বিড়ি, কাঠ, বাঁশ ও গরুসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল পাচাঁর
করছে।
পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে। তারপরও সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার (২৮ জুন) সকালে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল ইসলাম, জজ মিয়া, নুরু মিয়া,এরশাদ মিয়া, নবীকুল মিয়া, শহিদ মিয়া গং লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী
দিয়ে প্রায় ২শতাধিক লোককে ছোট বারকি নৌকা দিয়ে ভারতে পাঠায় কয়লা, পাথর, মদ, ইয়াবা, বিড়ি ও কাঠ আনার জন্য।
এঘটনাটি জানতে পেরে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৯টি নৌকা আটক করে। যার সিজার মূল্য অনুমান ১৪,২০,০০০টাকা ধরা হয়েছে। কিন্তু সোর্সদের গ্রেফতার করেনি।
অথচ এই যাদুকাটা নদীতে ডুবে সম্প্রতি ২জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ওইদিন রাত ১২টায় চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা তেতুলগাছ ও ১১৯৬ পিলার সংলগ্ন লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স শফিকুল ইসলাম
ভৈরব, রমজান মিয়া, বাবুল মিয়া, খোকন মিয়া, জসিম মিয়া, শহিদুল্লাহ গং ভারত থেকে প্রায় ৩লক্ষ টাকা মূল্যের কয়লা ও মদ পাঁচার করে নৌকা বোঝাই করে নিয়ে যায়। কিন্তু বিজিবি সোর্স ও তাদের মালামাল আটক করতে পারেনি।
এছাড়াও আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) ভোরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম, মানিক মিয়া ভারত থেকে প্রায় ২লক্ষ টাকা মূল্যের কয়লা, বাঁশ ও মদ পাচাঁর করে তাদের সহযোগী কাসেম মিয়ার নৌকায় বোঝাই করে ওপেন নিয়ে যায়।
কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য সীমান্ত এলাকায় সোর্স পরিচয়ধারীদের দৌড়াত্ব দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাই সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে গ্রেফতার করতে র্যাব ও পুলিশের
সহযোগীতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সীমান্ত এলাকার সচেতন জনসাধারণ। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এসহান সাংবাদিকদের বলেন- আটককৃত নৌকাগুলো শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।