শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ইউনিয়ন মাহরশী নদীর বাধ ভেঙে উপজেলা পরিষদ চত্বর ও বাজারসহ অন্তত: ২৫/৩০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ৩০ জুন বুধবার ভোরে ওই ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী সদর বাজারের প্রায় দোকানেই পানি ওঠেছে।
ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এদিকে অব্যবস্থাপনার কারণে টানা বর্ষণে সড়কসহ বেশ কিছু বাসাবাড়িতে পানি ওঠেছে। জানা যায়, সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোঁষা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওইসব নদীর পানির তোড়ে বুধবার ভোরে উপজেলা সদর রক্ষা বাঁধের দিঘীরপাড় অংশ ভেঙে পানি নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ শুরু করে। এতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজার, ঝিনাইগাতী ইউনিয়নের কোনাগাঁও, দড়িকালিনগর,
সারিকালিনগর, সুরিহারা, চতল, গজারমারী, পাইকুড়া, রামেরকুড়া, ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলি, কুচনিপাড়া, বিলাসপুর, দাড়িয়ারপাড়, হাতীবান্দা ইউনিয়নের বেলতৈলসহ অন্তত: ২৫/৩০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ওইসব এলাকার বাড়ি-ঘরসহ কাঁচা-পাকা সড়কসহ অন্তত: শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন ওইসব খামারিরা।ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ
জানান, ঢলের পানি বাজারে প্রবেশ করে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। প্রতি বছরই পাহাড়ি ঢলে বাজারে পানি ওঠায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এ সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান করা প্রয়োজন।ঝিনাইগাতী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সিরাজুল সালেহীন জানান, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বেশ কিছু পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানান, ইতোমধ্যে ভাঙা বাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছি। আশা করছি, বৃষ্টি কমে গেলেই পানি দ্রুত নেমে যাবে। এছাড়া ভাঙা বাঁধ দ্রুত সংস্কারে ব্যবস্থা করা হবে।