কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হারানো শিশু সুমাইয়া(৬)কে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।জীবিকা নির্বাহের জন্য চিলমারী থেকে ঢাকায় শিশুটির মা ও চট্রগ্রামে কাজ করছেন শিশু সুমাইয়ার পিতা এরশাদুল হক।
চলমান লকডাউনে ঢাকা থেকে আসতে না পারায় থানা হেফাজতে থাকা শিশু সুমাইয়াকে তার পিতা ও মাতার সম্মতিক্রমে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় শিশুটির মামা শফিকুল ইসলামের জিম্মায় প্রদান করা হয়। এসময় শিশুটির
স্বজনসহ চরপাত্রখাতা মাদ্রাসার সুপার উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের এমন মানবিক কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রশংসিত করেছেন শিশুটির পরিবার, স্বজন ও স্থানীয়রা।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, শিশুটি স্নেহ-যত্ন সহকারে থানা হেফাজতে ছিল। শিশুটির পিতা-মাতার সম্মতিক্রমে শিশুটিকে মামা শফিকুল ইসলামের জিম্মায় প্রদান করা হয়। শিশুটিকে সবসময় দেখে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পথচারীরা সুমাইয়া (৬) নামের শিশুটিকে উলিপুর কৃষি ব্যাংকের বারান্দা থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে দেয়।শিশুটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পথ ভুলে এখানে এসেছে বলে জানায়।
শিশুটি বলে, পাত্রখাতা গ্রামে তার বাড়ি।পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা গ্রামে শিশুটির বাড়ি। তারা দুই ভাই বোন। ছোট ভাই কামরুল (৫)।
তার পিতার নাম এরশাদুল হক ও মাতা কাজলী বেগম। শিশুটির মা-বাবা আলাদা হয়ে গেছেন প্রায় ৯ মাস পূর্বে। এরপর পিতা সুমাইয়াকে ও মাতা কামরুলকে নিজেদের কাছে রেখে দেন। মা কাজলী বেগম ছোট সন্তান কামরুলকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন।
সেখানে তিনি পোশাক শ্রমিকের কাজ করেন। বাবা এরশাদুল হক মেয়ে সুমাইয়াকে ছোট ভাই দিনমজুর মমিনুলের কাছে রেখে জীবিকা নির্বাহের জন্য চট্টগ্রামে চলে যান, সেখানে তিনি রিকশা চালান। বিষয়টি নিয়ে ‘হামার কুড়িগ্রাম’
ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে প্রকাশিত সংবাদ দেখে পুলিশ হেফাজতে থাকা শিশুটিকে ফিরে পেতে তার পরিবার থানায় যোগাযোগ করেন।