লকডাউনে রাশ টেনে না ধরায় সড়কে বাড়ছে যানবাহনসহ মানুষের সমাগম। লুকিয়ে ছাপিয়ে খোলা হচ্ছে দোকানপাট। অলিতে গলিতে পরিবার আর প্রতিবেশীদের সাথে গল্প আড্ডায় রয়েছে লোকজন।
খেলার মাঠ আর সাপ্তাহিক হাটগুলোতে বাড়ছে উপচে পরা মানুষের ভীড়। প্রশাসনের গাড়ির সতর্ক সংকেত কানে যেতেই সবাই সাবধান হয়ে যাচ্ছেন। চলে গেলেই সাবেক অবস্থা।
নিজেরা স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ায় এবং করোনা সম্পর্কে এখনো ভীতি কাজ না করায় অধিকাংশ মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ফলে সরকারের দেশব্যাপী কটোর লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোমবার উলিপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পশুর হাট দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। প্রশাসন বলছে সরকার পশুর হাট বন্ধের জন্য কোন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন নি।
আর লোক সমাগম সম্পর্কে সোজা সাপ্টা উত্তর আয়োজক কমিটিকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশে বাঁধা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু শুধু উলিপুরের হাট নয়।
জেলার প্রতিটি হাটেই ঠাসাঠাসিভাবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা অবস্থান করছেন। এদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। এই অবস্থার উন্নয়নে দেকভাল করা বা পরামর্শ দেয়ার কেউ নেই।
বিভিন্ন স্কুল ও কলেজমাঠে খেলতে আসা তরুনদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমরা শুনেছি পরিশ্রমের কাজ করলে করোনা হয় না। এজন্য খেলাধূলা করছি।
অলিগলিতে আড্ডামারা তরুনরা জানায়, আমরা নিজেদের এলাকায় অবস্থান করছি, এতে সমস্যা কোথায়। আপনারা সাংবাদিকরা সব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন।
এসব অল্প বয়ষ্ক তরুনরা থুতুনিকে মাস্ক রেখে সন্ধার পর থেকে গলিতে আড্ডা মরছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর গাড়ি দেখলেই সটকে পরছে।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু জানান, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বিভাগ সারা জেলায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু মানুষ নিজে সচেতন নয়।
জোড় করে সচেতন মানুষেকে ঘরে আটকে রাখা যায় না। অলিতে গলিতে লোকজন হাল্কা মেজাজে আড্ডা মারছেন। এছাড়াও হাট-বাজারগুলোতে উপচে পড়া মানুষের ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। যে কোন মূল্যে সরকারের কঠোর লকডাউন বিধি নিষেধগুলো মানতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
উলিপুরের পশুর হাট নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, গরুর হাট বন্ধ করার কোন নির্দেশনা নেই। একটু আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যারের সাথে কথা বলেছি। ক্রেতা-বিক্রেতার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হাটে আমাদের টহল বাহিনী উপস্থিত আছেন।