দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা না পাওয়ায় সড়কের ইট তুলে নিয়েছেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া । এই নিয়ে এলাকায় সর্বত্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূইয়া মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিন মোহাম্মদপুর গ্রামে এলজিএসপির অর্থয়ানে ৩লক্ষ টাকা ব্যায়ে কল্যান্দী হাইস্কুল-শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির সড়ক থেকে সুবল সাহার বাড়ির দরজায় ৬২০ ফুট ইটের সলিংয়ের কাজ শুরু করে।
সড়কটির এক তৃতীয়াংশ কাজ করে বাড়ীর বাসিন্দাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি ওই বাড়ির বাসিন্দা জনি গণমাধ্যমেকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান ওই সড়কের ইটের সলিংয়ের জন্য বসানো প্রায় ১২০ফুট এজিন তুলে নিয়ে যান।
এব্যাপারে সুবল সাহার বাড়ির মোঃ জনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে এলজিএসপির অর্থায়ানে ৩লাখ টাকা ব্যায়ে তাদের বাড়ির দরজার ৬২০ ফুট রাস্তার সলিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি সয়ং ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া শুরু করেন।
সড়কটি ১নং ইট দিয়ে করার কথা থাকলেও তিনি করছেন ২নং ইট দিয়ে। এছাড়াও সড়কটির এক তৃতীয়ংশ কাজ করে অবশিষ্ঠ অংশের কাজ বন্ধ করে দিয়ে চেয়ারম্যান তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করে তাদের বাড়িতে -দোকানে লোক পাঠিয়ে ও নিজে মোবাইল ফোনে টাকা দিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
তার দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ও ওই অনিয়মের সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ওই সড়কের প্রায় ১২০ ফুট ইট তুলে নিয়ে যান।
খোঁজনিয়ে জানাগেছে ওই সড়কটির কল্যান্দী হাইস্কুল-শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির সড়ক থেকে মুখ থেকে সুবল সাহার বাড়ির দরজা পর্যন্ত সলিং করার কথা কিন্তু চেয়ারম্যান সড়কটির কাজ শুরু করেছেন সুবল সাহার বাড়ির দরজা থেকে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটি ৬ফুট চওড়া হওয়ার কথা ছিলো তিনি ৭ফুট চওড়া করছেন ।
ওই জন্য বাড়ির লোকজন অবশিষ্ঠ বাড়তি অংশের জন্য তাকে ৫০হাজার টাকা দিবেন বলেছেন। ওই টাকা না দেওয়ায় তিনি বাড়তি অংশের ইট তুলে নিয়ে গেছেন বলে দাবী করেন।
সড়কটি কল্যান্দী হাইস্কুল-শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির সড়ক থেকে মুখ থেকে করার কথা ছিলো এতে তিনি বলেন উপজেলা থেকে তাকে যে ভাবে কাজ করতে বলেছেন তিনি সেই ভাবে করেছেন।
এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে দেখেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানান।