নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারিগাঁও গ্রামে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩ পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করে আহত করার ঘটনায় মর্জিনা আক্তার (৫৫) এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই হামলার ঘটনায় সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ নুরুজ্জামান, কনস্টেবল শরীফ খান ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন আহত হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মর্জিনা আক্তার উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের বড় চারিগাঁও গ্রামের সাহাব উদ্দিন চৌকিদার বাড়ির মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ দিন থেকে সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বড় চারিগাঁও গ্রামের সাহাব উদ্দিন চৌকিদার বাড়ির শাহাজান সাজু ও আকলিমা আক্তারদের পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসলছিল।
ওই বিরোধের জেরে গতকাল সোমবার (১২জুলাই)দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আকলিমা আক্তার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে সেনবাগ থানার এএসআই নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় আকলিমার প্রতিপক্ষ শাহজান সাজু (৩৫) গংদের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা বেধে যায়। এক পর্যায়ে শাহাজান সাজুর নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যরা বহিরাগত জয় মজুমদার (৩৩), শাহ আলম (২৮), নুরনবী(৫২), মর্জিনা আক্তার(২৮), স্বর্না আক্তার (২৫) পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য সেনবাগ থানার উপ-
পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ নুরুজ্জামান,কনস্টেবল শরীফ খান, কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন আহত হয়।। পরে খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত অভিযুক্ত মর্জিনা আক্তার এক নারীকে গ্রেফতার করে।
বর্তমানে অপর আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে
এ ঘটনা ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্যকাজে বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় মামালা দায়ের করে। মামলা নং ৭ তারিখ ১২,০৭,২১ইং।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এবং মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে মর্জিনাকে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।