সুনামগঞ্জে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই হামলার ঘটনায় পুলিশের এক এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাম শাহ আলী।
তিনি জেলার শাল্লা থানায় কর্মরত রয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- শাল্লা থানা যুবলীগ নেতা ও উপজেলার নাইন্দা গ্রামের অনিল বরন চৌধুরীর ছেলে
অরিন্দম চৌধুরী অপু (৩৮), তার সহযোগী পাশর্^বর্তী গুংগিয়ারগাঁও গ্রামের নারুগোপাল রায়ের ছেলে রতন রায় (২৮) ও বাহারা গ্রামের মিস্টলাল দাসের ছেলে সেন্টু দাস (২৩)। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ভোরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) রাত অনুমান ১২টায় এসআই শাহ আলী নিজের দায়িত্ব শেষ করে শাল্লা থানা থেকে বাসায় যাওয়ার সময় থানা সংলগ্ন রাস্তায় যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু, রতন রায়, সেন্টু দাসসহ ৭-৮জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
ওই সময় এসআই শাহ আলী চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখন হামলাকারীরা এলাকার লোকজনকে এব্যাপারে মুখ না খোলার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে এসআই শাহ আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।এব্যাপারে আহত এসআই শাহ আলী বলেন- ঘটনাদিন ওসি সাহেব থানায় অনুপস্থিত থাকায় সারাদিন অফিসিয়াল কাজ শেষ করে রাতে বাসায় ফিরছিলাম।
ওই সময় যুবলীগ নেতা অপু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দা, লোহার রড, ও পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে কপাল ও কোমরসহ হাতেপায়ে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
হামলাকারীরা শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের সাম্প্রদায়িক ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিত। আর এই বিষয়টি আমি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- শাল্লা থানার ওসির অনুপস্থিতে দায়িত্বে থাকা এসআই শাহ আলী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।মোজাম্মেল আলম